পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গবিজেতা । ($9 কারণবশতঃ স্থাপিত ছিল। মুহূৰ্বমধ্যে তাহারা আসিয়া মিলিত হইল । তখন ইন্দ্রনাথ রাজাকে বলিলেন,~~ “ মহারাজ ! যদি তাজ্ঞ পাই, আমার পঞ্চশত অশ্বারোহী লইয়া শত্রুদিগকে ক্ষণেক বাধা দিতে পারি। ততক্ষণে আপনার স্বচ্ছন্দে দুর্গের মধ্যে প্রবেশ করিতে পারিবেন।” রাজ গম্ভীরস্বরে উত্তর করিলেন,— “অজ্ঞান বালক ! যুদ্ধের উচিত সময় হইলে টোডরমল্ল কখনও পলায়নতৎপর হয় না । বৃথা প্রাণ নষ্ট কর যুদ্ধ নহে, নরহত্য মাত্র।” ইন্দ্রনাথ আবার বলিলেন,— “মহারাজ ! ক্ষমা করুন, দিল্লীশ্বরের অধীনের পঞ্চশত তাশ্বারোহী বিদ্রোহীদিগের দুই সহস্ত্রের সহিত সমতুল বলিয়। গণ্য হইতে পারে।” রাজা সরোষে উত্তর করিলেন,— “ সেনাপতির আজ্ঞার উপর উত্তর করিলে প্রাণদণ্ড হয়,—এবার তোমাকে ক্ষমা করিলাম।” কিঞ্চিৎ পরে মৃদুস্বরে বলিলেন, “ইন্দ্রনাথ ! আমার দুর্গের মধ্যে সেনাগণ যেরূপ অসন্তুষ্ট ও বিদ্রোহোম্মুখ হইয়াছে, তোমার অধীন পঞ্চশত অশ্বারোহীই আমার প্রধান সম্বল, তাহাদিগকে আমি অন্যায় যুদ্ধে প্রেরণ করিতে পারি না।” এইরূপ কথোপকথন করিতে করিতে সকলে দুর্গের নিকট উপস্থিত হইলেন। দুর্গের সম্মুখে পরিখ ; সকলে বিক্ষিত ও ভীত হইয়া দেখিলেন, পরিথার উপরিস্থ সেতু ভগ্ন হইয়াছে ! যে নরাধম শক্রদিগকে গোপনে সংবাদ দিয়াছিল, সেই সেতু ভাঙ্গিয়া ফেলিয়াছিল ; সুতরাং অশ্বারোহীদিগের দুর্গে প্রবেশ করিবার উপার নাই! সকলেই সন্তরণ করিয়া পরিখা পার হইবার প্রস্তাব করিল । রাজা শত্রুদিগকে অঙ্গুলী নির্দেশ করিয়া বলিলেন,—“পার হইতে না হইতে শক্ৰ আসিয়া পড়িবে, তখন কাপুরুষের ন্যায় শক্ৰকর্তৃক সকলে আহত হইয়া জলমগ্ন হইবে । বীরপুরুষের কার্য্য কর, শত্রুদিগের সহিত যুদ্ধ দাও, এইক্ষণেই কাঠের নূতন সেতু নিৰ্ম্মিত হউক, যতক্ষণ নিৰ্ম্মিত না হয়, শত্রুর সহিত যুদ্ধ করিব। ইন্দ্রনাথ, তুমি সেনাপতি, এবার সেনাপতির কাৰ্য্য কয় ।” “ভূত্য সাধ্যমত কাৰ্য্য করবে, বলিয়া ইন্দ্রনাখ বৃহনিৰ্ম্মাণে তৎপর হইলেন। মুহূৰ্ত্ত মধ্যে ব্যুহ নিৰ্ম্মিত হইল। ব্যুহ অৰ্দ্ধচন্দ্রাকৃতি ও পঞ্চ শ্রেণীতে বিভক্ত। প্রতি শ্রেণীতে এক শত অশ্বারোহী। প্রথম শ্রেণীর ন g