পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গবিজেতা । ఫ్సి va পাগলিনী গোপকন্যা, তাহার মাতা পরম হুন্দরী ছিল, তাহার স্বামীর কাল হইৰার পর, বিধবা গোপীকে দেখিয় একজন ব্রাহ্মণ মোহিত হয়েন। র্তাহার ঔরসে সেই গোপস্ত্রীর গর্ভে শকুনির জন্ম হয়। শকুনির পিল যতদিন জীবিত ছিলেন, ততদিন এই গোপবনিতা ও তাহার পূর্বস্বামীৰু ঔরসজাত কন্যা বিশ্বেশ্বরীকে লালনপালন করিয়াছিলেন। পরে তাহার মৃত্যুর পর শকুনি অল্প বিষয়ের উত্তরাধিকারী হয়েন । সকলে তাহাকে জরজ বলতে শকুনি অল্প বয়সে অতিশয় ক্ষুণ্ণ হইলেন । একদিন ক্রোধ সম্বরণ করিতে না পারিয়া আপনার মাস্তাকে বিষসেবন দ্বারা হত্য করিলেন । বিশ্বেশ্বরী পলাইল, কিন্তু সেই হত্য দেখিয়া অবধি পাগলিণী হইল। শকুনি এই মহাপাতকের পর দেশত্যাগ করিয়া সতীশচন্দ্রের গৃহে ব্রাহ্মণপুত্র বলিয়া আপনার পরিচয় দিলেন । বিশ্বেশ্বরী প্রাণভয়ে অনেকদিন অবধি দেশদেশাস্তরে . লুকাইয়া বেড়াইত। অবশেষে যেদিন বনাশ্রম হইতে মহাশ্বেতা ও সরল চতুৰ্ব্বেষ্টিত দুর্গে বনীরূপে নীত হয়েন, সেই দিনেটু বিষ্ট্ৰেশ্বরীও বন্দীরূপে চতুৰ্ব্বেষ্টিত দুর্গে নীত হয়। পাছে বিশ্বেশ্বরী শকুনি জন্মের কলঙ্কের কথা কাহারও নিকট প্রকাশ করে, সেই জন্য তাহাকে চতুৰ্ব্বেষ্টিত দুর্গের মধ্যে এক অতি অন্ধকার কারাগারে এতদিন বদ্ধ করিয়া রাখা হইয়াছিল। এক্ষণে শকুনি বন্দী হইলে পর বিশ্বেশ্বরী সেই কারাগার হইতে মুক্তি পাইয়া আসিয়াছে, কিন্তু কারাবাসে তাহাকে যে কষ্টে রাখা হইয়াছিল, তাহাতে তাহার শরীরে কেবল অস্থিচৰ্ম্ম অবশিষ্ট ছিল। আপনার এই সমস্ত বিবরণ বৰিতে বলিতে তাহার চক্ষুদ্বয় কপালে উঠিল ও রক্তবর্ণ হইল, ললাটে শিরা স্ফীত হইয়। উঠিল। সহসা পার্শ্বস্থ একটী দৈনিক পুরুষের নিকট হইতে একটা তীক্ষ ছুরিকা লইয়া সজোরে শকুনির বক্ষঃস্থলে আঘাত করিল। ছিন্ন তরুর ন্যায় শকুনির মৃতদেহ ভূতলে পতিত হইল । * "সমরসিংহের মৃত্যুর প্রতিহিংসা হইল,” “সতীশচন্দ্রের মৃত্যুর প্রতিश्निः इझेल,” “भङ्कश्खाब ॐयूख শাপ্তি," " কপটচারীর উচিত দণ্ড,"— এইরূপ নানাপ্রকার কথা বলিয়া সকলেই গর্জন করিয়া উঠিল। বিশ্বেশ্বরীর জীবনের কার্য্যও অদ্য শেষ হইল,—সেই শীর্ণ দেহ হইতে ধীরে ধীরে প্রাণ নির্গত হইল। ভ্রাতার মৃতদেহের দিকে দেখিতে দেখিতে হাদিতে হাসিতে অভাগিনী পাগলিনী প্রাণত্যাগ করিল।