পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গবিজেতা । 亨 প্রতিশ্রত হইয়াছেন । সে ੀ এই, আপনি আমাকে জন্মের মত বিস্কৃত হউন"।” ইন্দ্রনাথ চমকিত হইয়া নিরুত্তর হইয়৷ রছিলেন। বিমলা আবার বলিতে লাগিলেন । “সে ভিক্ষ এই যে, আমি কখন প্ৰেমদৃষ্টিতে আপনাকে নিরীক্ষণ করিয়াছি, তাহ জন্মের মত বিস্কৃত হউন ; আমি কখন আপনার দেবমূৰ্ত্তিকে হৃদয়ে স্থান দিয়াছি, তাহ জন্মের মত বিস্তৃত হউন ৷” ইন্দ্রনাথ এখনও বিস্মিত ও নিরুত্তর হইয়া রছিলেন। তাহার প্রতি রমণীর প্রেম সঞ্চার হইরাছিল, তাহ ইন্দ্রনাথ অগ্ৰেই দুই একবার অনুভব করিয়াছিলেন। কিন্তু এতদূর হইরাছে তাহ জানিতেন না। আর এক্ষণই বা সেই প্রেম উচ্ছেদ করিবার যত্ন করিতেছেন কেন ? ইন্দ্রনাথ কিছু স্থির করিতে না পারিয়া নিরুত্তর হইয়। রহিলেন । বিমলা আবার বলিতে লাগিলেন— " আর আমি অভাগিনী ! আমার হৃদয়েও আপনার মূৰ্ত্তি গভীরাঙ্কিত হইয়াছে তাহাও উৎপাটত করিতে যত্ন করিব,–না পারি হৃদয় উৎপাটন করিয়| জাহ্নবীজলে নিক্ষেপ করিব।” ইন্দ্রনাথ ধীরে ধীরে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনার এ অভিপ্রায় কিজন্য হইয়াছে জিজ্ঞাসা করিতে পারি ?” বিমল উত্তর করিলেন, “আমি আপনার প্রণয়ের পত্নী হইব মানস ছিল, প্রণয়ে কাহারও সপত্নী হইবার আকাঙ্ক্ষা করি না। বিধাতা আমার ললাটে দুঃখ লিখিয়াছেন, অন্যের সুথের পথে কাটা দিব কি জন্য ?” ইন্দ্রনাথের সরলার কথা মনে পড়িল,—তিনি অবাকৃ হইয়া রহিলেন । সেই দিন প্রান্তে শিবিরে রাষ্ট্র হইল যে, হুমায়ুন ও তখান পূৰ্ব্ব রাত্রিতে শিবির পরিত্যাগ করিয়া সসৈন্যে পাঠানদিগের সহিত যোগ দিয়াছেন। ইন্দ্রনাথ নৌকা হইতে অবরোহণ করিয়া ধীরে ধীরে শিবিরাভিমুখে গমন করিলেন।