পাতা:বঙ্গবিজেতা.djvu/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰিজেতা । | ఫిగ్రీ স তাছাকে উপহাস করিয়া ...Y বলিয়া সম্বোধন করিতেন,—তদন্তুসারে আশ্রমের অনেকেই কমলাকে বনদেবী বলিয়া ডাকিত । ফলতঃ, তিনি যেরূপ একাকী যনে বনে বিচরণ করতে ডালবাসিতেন, তাহাতে র্তাহাকে সেই শান্ত পবিত্র ছায়ান্বিত আশ্রমের অধিষ্ঠাত্রী দেবী বলিয়া বোধ করা কিছুই বিচিত্র নহে। আদ্য সন্ধার সময় কমলা সরলাকে লইয়া বনবিচরণ করিতেছিলেন,— এক্ষণে দুই জলে নদীতীরে বসিয়া রহিয়াছেন । কমলা সরলাকে ভাল বাপিতেন,—সে লরলচিত্ত বালি কাকে না ভালবাসিয়া কে থাকিতে পারে ? সরলাও কমলার দুঃখে দুঃখ প্রকাশ করিতেন,—আপনার দুঃখ বিস্মৃত হইয়৷ সেই বিধবার দুঃখে দুঃখী হইতেন—সুতরাং ক্রমশঃ তাহাদিগের মধ্যে ভালবাসার সঞ্চার হইয়াছিল । পাঠক মহাশয় জিজ্ঞাসা করিবেন, সরলার আবার দুঃখ কি ? বালিকার হৃদয়ে চিন্তা কিসের ? আমরা উত্তর করিব, সরলা আর বালিকা নাই,— হৃদয়কোরকে প্রণয় কীট প্রবেশ করিয়াছে। যেদিন হইতে ইন্দ্রনাথ সরলার নিকট বিদার লইয়াছিলেন, সেইদিন হইতে প্রণয় কাহাকে বলে সরলা বুঝিল, চিস্ত কাহাকে বলে বুঝিল । সরলা এখনও পূর্বের ন্যায় স্নেহময়ী কন্যা, কিন্তু এক্ষণে মাতার সেবাশুশ্রুষা করিতে করিতে সততই আর একজনের কথা হৃদয়ে জাগরিত হইত, আর একখানি মুখ মনে পড়িত। এখনও সরলা পূর্বের ন্যায় পরিশ্রম করিত, কিন্তু কাৰ্য্য করিতে করিতে মধ্যে মধ্যে সহস দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ করিত, মধ্যে মধ্যে সহসা চক্ষে জল আদিত । লজ্জায় অশ্র মুছিয়। আবার কার্ষ্যে নিযুক্ত হইত, আবার ধীরে ধীরে চক্ষে জল আসিত। ক্রমে ক্রমে ধীরে ধীরে সেই জলে চক্ষুদ্বয় পরিপূর্ণ হইত,—ক্রমে ক্রমে ধীরে ধীরে সেই জলে মুখখানি সিক্ত হইত। সে বালিকার মুখে সে জল দেখিলে হৃদয় বিদীর্ণ হর । চিভ কি ? সরলাকে জিজ্ঞাসা করিলে তাহার উত্তর দিতে পারিত না,—কিন্তু আমরা অনুভব করিতে পারি। রুদ্রপুরে পূর্ণচন্দ্রালোকে যে ' দেবমূৰ্ত্তি দেখিয়াছিলাম আবার কি সে মূৰ্ত্তি দেখিতে পাইব ? যাহার কণ্ঠে একবার লীলাক্রমে মালা দিয়াছিলাম, তাহাকে কি আবার দেখিতে পাইব ? হৃদয়ের ইন্দ্রনাথকে আবার কি দেখিতে পাইব ? এই চিন্ত৷ কুরিতে করিতে সরল কাৰ্যকৰ্ম্ম ভুলিয়া যাইত, চারিদিক শূন্য দেখিত। জ্ঞানচক্ষে সেই রুদ্রপুরের কুটীর দেখিতে পাইত,-সেই কুটীরের পার্শ্বে