পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবিধ—উত্মাহরণ—১৮শ শতাব্দী। 8ఇవ কে জানে তোমাকে তুমি কোন স্থানে বৈস। এত বড় প্রাণ যে আমার ঘরে আইস ৷ আপন কল্যাণ চাহ যাহ নিকেতন। নহে আজি স্ত্রীর লোভে হারাবে জীবন। শুনি হরষিত বালা কামের নন্দন । কাম-জাল দূরে গেল বিয়রি শমন। হেন মনে লর মোর বধিতে পরগণ । মন্ত্রণা করিয়া মোকে আন্তাছে এ স্থান ৷ ছলছল করে আখি শুখায় বয়ান । বালা (১) বলে রাখ নহে বধ মোর প্রাণ ॥ তোমার কারণে প্রাণ নিরবধি বুরে । মৃত্যু যদি হয় তবে শোক যায় দূরে ৷ অন্য কেন ধরি মোকে করিবে দুৰ্গতি। তুমি স্বহস্তে বধহ প্রাণ শুন রূপবতী ॥ গদগদ ভাষে বালা সুন্দরীকে বলে। চান্দ-মুখ দেখি যেন মরিবার কালে ৷ নয়নে বহিছে নীর ছাড়রে নিশ্বাস । উষা বলে প্রাণনাশ পাইল বড় ত্ৰাস ॥ কপূর তাম্বুল বামা করিয়া যতন । হাসিয়া বালার মুখে দিলেন তখন। স্থির হও স্থির হও না করিয়ো ভয়। নেতের অঞ্চল দিয়া বদন মোছায় ॥ আপনি মজা কুল কাকে আছে ভয়। যাচিয়া যৌবন আমি বিকালু রাঙ্গা পায় ॥ (১) বালা প্রাচীন সাহিত্যে প্রায় সৰ্ব্বদাই বালক’ বা যুবকের পরিবর্তে ব্যবহৃত হইয়াছে।