পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জয়নারায়ণ সেনের হরি-লীলা । জয়নারায়ণ সেন অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে “হরি-লীলা” ও “চণ্ডীকাব্য” প্রণয়ন করেন। ইনি রাজ-বল্লভের জ্ঞাতি এবং বিক্রমপুরের অধীন যপ্ৰসা-গ্রাম-নিবাসী ছিলেন। ইনি ভারতচন্দ্র ও রামপ্রসাদের সামসময়িক কবি ; এবং উক্ত দুই কবির পরেই সসম্মানে উল্লেখ-যোগ্য। ইনি অষ্টাদশ শতাব্দীর পূর্ববঙ্গীয় কবিগণের শীর্ষস্থানীয় এবং ঐ সময়ের সমগ্র বঙ্গীয় কবিকুলের মধ্যে তৃতীয় স্থানে আসীন হইবার যোগ্য। ইহার কাব্যগুলির একখানিও এ পর্য্যন্ত প্রকাশিত হয় নাই, এজন্ত আমরা ইহার হরি-লীলা হইতে বিস্তারিত ভাবে রচনা উদ্ধৃত করিলাম। চণ্ডী-কাব্য হইতেও সামান্ত কিছু অংশ উদ্ধৃত হইল। জয়নারায়ণের বংশীয় গঙ্গামণি দেবী নামী লেখিকা প্রায় ৮০ বৎসর পূৰ্ব্বে হরি-লীলার একখানি পুথি নকল করিয়াছিলেন ; সেই পুথি হইতে নিম্নলিখিত অংশগুলি উদ্ধৃত হইল। জয়নারায়ণ-সম্বন্ধে বিস্তৃত বিবরণ “বঙ্গভাষা ও সাহিত্যে”র ৬০৮-৬১৮ পৃষ্ঠায় দ্রষ্টব্য। ভোজপুরী চোর কর্তৃক রাজবাড়ী হইতে বহুমূল্য হার ও তরবারি চুরি এবং কোটাল কর্তৃক তাহার উদ্ধার-চেষ্টা । প্রথমে ডাকিয়া কৈল নায়ের কোটালে। সাবধান কালা রায় দস্থ্য পাছে চলে। বসিল আঁটিয়া ঘাট গুজর ফাটক। পথে ঘাটে যারে পায় তখনি আটক ॥ মায়া হয়্যা হরকরা পশে সব পুরে। (১) বৈরাগী ফকীর হৈয়া ফিরে দ্বারে দ্বারে ॥ বিদেশী অতিথ পথি হাজারে হাজারে । ধরি ধরি আপনি সব রাখে কারাগারে ॥ (১) স্ত্রীলোকগণ “হরকরা” অর্থাৎ দূতীর ছদ্মবেশে অন্তঃপুরে প্রবেশ করিতে লাগিল ।