পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>Q>ペ কাশীর বস্ত্রাদি । বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । হের হে প্ৰাণেশ প্রভু কর অবধান। আজু যে মুখের নিশি না যায় বাথান ॥ কিন্তু যে সকল গুণে বাখানি নিশ্বিরে । বিষবৎ ছিল পূৰ্ব্বে আমার শরীরে । তোমা কাছে যে সকলে করে এবে হিত। এ সকলি পূৰ্ব্বে মোর ছিল বিপরীত। তাপকর যারা ছিল এবে শীতকর। বজ্র-রব আছিল যে সে মধুর স্বর। প্রলয় করিছে যারা তারা হৈলে সখী । সংসার হইল মিত্ৰ পায়া তব দেখা ৷ জয়নারায়ণের কাশী-বর্ণনা। ভূকৈলাসের রাজা জয়নারায়ণ বহু ব্যয় ও পরিশ্রম করিয়া বিবিধ পণ্ডিতের সাহায্যে ১৮০০ খৃঃ অব্দে কাশীখণ্ডের একখানি অনুবাদ সঙ্কলন করেন। কিন্তু কাশীর তাৎকালিক পরিচয়টি তাহার নিজের লিখিত। তাহা হইতে নিম্নের অংশ উদ্ধত হইল। ইহা অনুবাদ নহে,— মৌলিক রচনা। জয়নারায়ণ-সম্বন্ধে বিশেষ বিবরণ বঙ্গভাষা ও সাহিত্যের ৪৯৪–৫০১ পৃষ্ঠায় দ্রষ্টব্য। কাশী-মধ্যে বহুতর জনার বসতি । তাহারা যে কাৰ্য্য করে কহিব সম্প্রতি ॥ কিঙথাপ (১) জামদানী সাড়ী (২) একপাট (৩) । সাঙলা (৪) গুদড় (৫) তার পরে ধনুকপাট (৬) ॥ (১) কিংখাব=স্বর্ণ ও রৌপ্যস্থত্রে গ্রথিত রেসমী বস্ত্র-বিশেষ। (২) জামদানী সাড়ী=জরির ফুল দেওয়া উৎকৃষ্ট মসলিন বস্ত্রবিশেষ। ইহা নানাপ্রকারের,—যখা, তোড়াদার, বুটিদার তেরচ, জালদার, পঃ, হাজরা ডুরিয়া, গেন্দ, শাবুর্গা, কসিদ, চিকনগাজি, ঝাপান। (৩) একপাটা =অতি সুহ্ম স্থত্রের একরূপ মলমল । (৪) সাঙলা ( বা সাঙ্গী )= এক প্রকার রেসমী অন্তর্বাস। (৫) গুদড় = একপ্রকার মোট রেসমী বস্ত্র। (৬) ধনুকপাট= সাদা রেসমী জরির উপর অতি সরু জরির ফিত-পাড়যুক্ত বস্ত্র।