পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন সঙ্গীত–গোবিন্দ অধিকারী—জন্ম ১৭৯৭ খ্রঃ । ›¢ዓዓ কাষ কি সঙ্গে এক যাই, আমিত বলি কায নাই, হরিকে কেবল সঙ্গে চাই, হবে না গুরু ভিন্ন। বিধিকে হয় সঙ্গে নিতে, বিবাহ-কালে বিধি দিতে, বিধি-মন্ত্র পড়াইতে, কায কি আর অন্ত ॥ রাধার উক্তি । যেমন পৃথিবীর ভূষণ রাজা রাজার ভূষণ সভা। সভার ভূষণ পণ্ডিত সভা করে শোভা ৷ পণ্ডিতের ভূষণ ধৰ্ম্মজ্ঞানী, মেঘের ভূষণ সৌদামিনী, কোকিলের ভূষণ মধুর ধ্বনি, সতীর ভূষণ পতি। যোগীর ভূষণ ভষ্ম, মৃত্তিকার ভূষণ শস্ত, রত্বের ভূষণ জ্যোতিঃ ॥ বৃক্ষের ভূষণ ফল, নদীর ভূষণ জল, জলের ভূষণ পদ্ম। পদ্মের ভূষণ মধুকর, মধুকরের ভূষণ গুণ গুণ স্বর, উভয় প্রেমে বদ্ধ ॥ শরীরের ভূষণ চক্ষু যাতে হয় জগৎ দৃষ্ট। দাতার ভূষণ দান করে বলে বাক্য মিষ্ট। পূজার ভূষণ ভক্তি যেমন থাকে ইষ্ট-নিষ্ঠ। তেমনি ভূষণের ভূষণ আমি আমার ভূষণ কৃষ্ণ । গোবিন্দ অধিকারীর গান । হুগলি জেলার থানাকুল-কৃষ্ণনগরের নিকটবৰ্ত্তী জাঙ্গিপাড়া গ্রামে ১৭৯৭ খৃঃ অব্দে গোবিন্দ অধিকারী জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। ইনি জাত বৈরাগী। ইনি দুতি সাজিয়া স্বয়ং আসরে নামিতেন। উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগের কবির দলে ইহার অসাধারণ প্রতিপত্তি ছিল। ( > ) ঠেশ–কাওয়ালী । চিত্র লিখিলেম নয়ন-কজলে। দিই নাই চরণ চলিবে বলে ॥ যদি কেউ বলে, চিত্র কি চলে, সময়ে চলে অচলাচলে, (১) নলের দগ্ধ মীন যেমন জলে চলে ॥ (১) আচল পৰ্ব্বতও সময়ে চলিয়া থাকে। > ふbア