পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন গদ্য-সাহিত্য—বাঙ্গলা ব্যাকরণ—১৮৫০ খৃঃ । অবশুই হইবেন । র্তাহাদিগের নামেই ইহার পরিণাম দর্শাইতেছে। তত্র প্রমাণং গুণগ্রাহবিসম্বাদী নামাপি হি মহাত্মনাং । যথা সুবর্ণক্রখণ্ড রত্নাকর সুধাকরাঃ । অতএব ইত্যাশয়ে গুণগ্ৰাহি মহাশয়দিগের প্রতি বিনাতিপুরঃসর মদীয় নিবেদন এই যে মৎপ্রতি কৃপাবলোকন করিয়া এতৎপ্রতি কটাক্ষপ্রদানে নিতান্তাধীনজনমানসোল্লাসপ্রকাশে প্রবৃত্তি করুন ইতি । বাঙ্গলা ব্যাকরণ । বাঙ্গল উদাহরণ-সম্বলিত ইংরাজী গ্রন্থ—১৮৫০ খৃঃ । এই পুস্তক শ্রীরামপুর প্রেসে ছাপা হইয়াছিল। এই পুস্তকের নাম— ‘Introduction to the Bengali Language.” প্রশ্ন। আমি এ দেশে অনেক প্রকার পোষাক দেখিতে পাই, ইহার বিশেষ বৃত্তান্ত সকল বর্ণনা কর দেখি । উত্তর। সাহেব, এ দেশের সাধারণ পরিচ্ছদ ধুতি ও উড়নি অথবা চাদর, কেবল প্রকাশু কাৰ্য্যালয়ে, দরবারে, অথবা কোন সাহেবের নিকট যাইতে হইলে পাগড়ি, জামা ইত্যাদি পরা যায়, নতুবা বাটতে প্রায় কেবল ধুতি পরিয়া থাকি, এবং কোন স্থানে যাইতে হইলে ধুতি পরি ও চাদর দোস্ট করি, ইদানীন্তন নব্য বিষয়িদের মধ্যে সাধারণ পোষাকে অঙ্গরাখা চলিত হইয়াছে অর্থাৎ নব্যতন্তর কি ঘরে কি বাহিরে প্রায় এক মেরুজাই বা পিরাহন পরিয়া থাকেন। প্রশ্ন। তোমাদের দরবারের পোষাক এমত না ২ প্রকার কেন ? উত্তর। দরবারের পোষাক লোকের স্ব ২ পদানুসারে বিবিধ হয়, অর্থাৎ ক্ষুদ্র পদস্থ ব্যক্তি ধুতি চাদর ও অঙ্গরাখা পরে ও মাতায় একখান কাপড় জড়াইয়া পাগড়ি বান্ধে, যাহারা তাহা হইতে উচ্চ পদস্থ তাহারা ধুতি চাদর ও চাপকান, মোজা, বান্ধা পাগড়ি ও চাদর ইত্যাদি পরিধান করেন। প্রশ্ন। কোন ২ লোক আমারদের বীবী লোকের মত গৌন পরে কেন? উত্তর। সাহেব তাহার নাম যোড়া, সে অতি সন্ত্রমস্থচক পরিচ্ছদ, এদেশে সন্ত্রান্ত প্রবীন লোক সকল প্রায় যোড়া পরিয়া থাকেন, কিন্তু নব্য বাবুরা অনেকে তাহ পসন করেন না। প্রশ্ন। ইজার চাপকন, কাবা, যোড়া ও বান্ধা পাগড়ি মোসলমানেরাও তো পরিয়া থাকে। ૨૨ઉઃ Qసిరి