এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৩৯
বড়দিদি
বিলাত যাইতে চাহিয়াছিল, কিন্তু নিতান্ত অন্যমনস্ক প্রকৃতির লোক বলিয়া তাঁহার পিতা সাহস করিয়া পাঠাইতে চাহেন নাই; তাই রাগ করিয়া পলাইয়া আসিয়াছিল। সে ভাল হইলে, তিনি বাটী লইয়া যাইবেন।
নিঃশ্বাস রুদ্ধ করিয়া, উচ্ছ্বসিত অশ্রু সংবরণ করিয়া লইয়া মাধবী বলিল, “তাই ভাল।”
———
ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ
ছয়মাস হইল সুরেন্দ্রনাথ চলিয়া গিয়াছে। ইহার মধ্যে মাধবী একটিবার মাত্র মনোরমাকে পত্র লিখিয়াছিল, আর লেখে নাই।
পূজার সময় মনোরমা পিতৃভবনে আসিয়া মাধবীকে ধরিয়া বসিল, “তোর বাঁদর দেখা।”
মাধবী হাসিয়া কহিল, “বাঁদর কোথায় পাব লো?”
মনোরমা তাহার চিবুকে হাত দিয়া সুর করিয়া মৃদুকণ্ঠে গাহিল,—
“আমি এলাম ছুটে দেখ্ব বলে,
কেমন শোভে পোড়ার বাঁদর—
তোর ঐ রাঙা চরণতলে।”
“সেই যে পুষেছিলি?”
“কবে?”
মনোরমা মুখ টিপিয়া হাসিয়া বলিল, “মনে নেই! যে তোকে বই আর জান্ত না?”