পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ত্রিংশ পুত্তলিকা।
১৯৭

 এই পরামর্শে, যোগী এক বৃদ্ধ বিপ্রের বেশ ধারণ পূর্ব্বক ঐ অট্টালিকার দ্বারে উপস্থিত হইয়া করতালি দিতে লাগিলেন। রাজা করতালির শব্দে দ্বারদেশে আসিয়া তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন তুমি কি অভিপ্রায়ে এখানে আসিয়াছ, তোমার যাহা অভিলাষ থাকে প্রকাশ করিয়া বল আমি তাহা পূর্ণ করিব। বিপ্র বলিলেন মহারাজ আমি তাবৎ ধরণী ভ্রমণ করিলাম, কিন্তু যোগ সাধনের উপযুক্ত আশ্রম কোথাও পাইলাম না। রাজা বলিলেন যদি এই অট্টালিকা তোমার মনোনীত হয় তবে লও। এই কথায় ব্রাহ্মণ তাঁহাকে ধন্যবাদ করিতে লাগিলেন। রাজা তাঁহাকে ঐ অট্টালিকা প্রদান করিয়া আপন গৃহে প্রত্যাগত হইলেন।

 পুত্তলিকা কহিল, শুন ভোজরাজ, তুমি বিবেচনা না করিয়া রাজা বিক্রমাদিত্যের তুল্য হইতে ইচ্ছা কর, কিন্তু তণ্ডুল্য গুণ না থাকিলে কিপ্রকারে তাহার সিংহাসনে বসিবে। এইরূপ কথোপকথনে সে দিবসও অতীত হইল। রাজা দুঃখিতান্তঃকরণে অন্তঃপুর প্রবেশ পূর্ব্বক, কোন প্রকারে রজনী বঞ্চন করিলেন। পরদিবস মান পূজার পর পুনর্ব্বার সভায় আসিয়া সিংহাসনারোহণার্থ অগ্রসর হইলে,

রূপবতী ত্রিংশ পুত্তলিকা

কহিল, হে রাজন, তুমি কি ক্ষিপ্ত হইয়াছ, তোমার এমত পুরুষত্ব কি আছে যে তুমি এই সিংহাসনে বসিতে