পাতা:বনবাণী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৩৭

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

বনবাণী

যে ইন্দ্রজাল দ্যুলোকে ভূলোকে ছাওয়া
বুকের ভিতর লাগে ওর তারি হাওয়া-
বুঝিতে যে চাই কেমন সে ওর পাওয়া,
চেয়ে থাকি অনিমিষে।


ফুলের গুচ্ছে আজি ও উচ্ছ্বসিত,
নিখিলবাণীর রসের পরশামৃত
গোপনে গোপনে পেয়েছে অপরিমিত,
ধরিতে না পারে তারে।
ছন্দে গন্ধে রূপ-আনন্দে ভরা,
ধরণীর ধন গগনের-মন-হরা,
শ্যামলের বীণা বাজিল মধুস্বরা
ঝংকারে ঝংকারে।


আমার দুয়ারে এসেছিল নাম ভুলি
পাতা-ঝলমল অঙ্কুরখানি তুলি,
মোর আঁখি-পানে চেয়েছিল দুলি দুলি
করুণপ্রশ্নরতা।
তার পরে কবে দাঁড়ালো যে দিন ভোরে
ফুলে ফুলে তার পরিচয়লিপি ধরে
নাম দিয়ে আমি নিলাম আপন ক’রে-
মধুমঞ্জরীলতা।


তার পরে যবে চলে যাব অবশেষে
সকল ঋতুর অতীত নীরব দেশে,

৩৭