পাতা:বস্তুবিচার.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাচ । సి অতিশয় ভঙ্গ-প্রবণ হইয় উঠে । উৎকৃষ্ট কাচে বালি না দিয়া একপ্রকার প্রস্তরের গুড় প্রদত্ত হইয়া থাকে। যাহা হউক, যখন ঐ পদার্থদ্বয় অগ্নির উত্তাপে গলিয়াযায়, তখন উছাকে নীল, পীত, লোহিত প্রভৃতি নানাবিধ বর্ণে রঞ্জিত করিতে পারা যায়। রঞ্জিত কাচ দেখিতে অতি সুন্দর ; উহা চক্ষুর উপর দিয়া দেখিলে, কাচের যে রঙ, সমুদয় বস্তুই সেই রঙবিশিষ্ট দেখায়। কাচ দ্রবীভূত হইলে উছা দ্বারা যে প্রকার আকারের বস্তু প্রস্তুত করিতে ইচ্ছা হয় ; ছাচে ঢালিয়া সেই প্রকারই করা যাইতে পারে এবং ঐ সময়েই নানাপ্রকার কৌশলদ্বারা উহাকে মন্থণ করা গিয়৷ থাকে অনেকে কছিয়া থাকেন যে, বৃহৎ বৃহৎ খড়ের গদা পুড়িয়। কাচ হয় । এ কথাও অসম্ভব বোধ হয় না ; কারণ খড় পুড়িলে ঐ ক্ষার এবং নিম্নস্থ বালি একত্র হইয়। কাচ হইবার বাধা নাই । কাচের প্রথম স্থষ্টি বিষয়ে একটী প্রাচীন ইতিহাস আছে । ফিনীধিয়া দেশীয় কতিপয় বণিক জাহাজ লইয়। বাণিজ্যাৰ্থ গমন করিতে করিতে সীরিয়। দেশের সমুদ্রকুলে উপস্থিত হইয়াছিলেন । র্তাহারা ঐ তীরজাত কালয় নামক ব্লক্ষের কাষ্ঠ অপহরণ করিয়। বালুকার উপরে পাক করিতে আরম্ভ করেন । পাক সমাপ্ত হইলে দেখিলেন যে, চুল্লীর মধ্যে এক প্রকার অপূৰ্ব্ব পদার্থ জন্মিয়। রহিয়াছে। অনন্তর তাছার। উছ। হুইতেই কাচের উৎপত্তি শিথিয় গেলেন । কাচ আমাদিগের দেশে বহুকালাবধি প্রচলিত আছে |