পাতা:বস্তুবিচার.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> o বস্তুবিচার । রবর। রবর, কোমল কৃষ্ণবর্ণ ও মস্থল পদার্থ এবং অতিশয় ছুচ্ছেদ্য, অর্থাৎ উহাকে কোন অস্ত্র দ্বার। অনায়াসে কাটা যায় না। রবরের আর একটা আশ্চৰ্য্য গুণ এই যে, দুই অঙ্গলি পরিমিত রবরের এক দিক ধরিয়া টানিলে উহ। ছিন্ন ন হইয়। ক্রমে ক্রমে বাড়িয়া যায় এবং ছাড়িয় দিলেই পুনৰ্ব্বার পূর্বকার আকার প্রাপ্ত হয়। এই গুণকে স্থিতিস্থাপক বলাগিয়াথাকে । রবর এইরূপ স্থিতিস্থাপক বলিয়াই উছার নিৰ্ম্মিত কিত, জুতা, টুপি প্রভৃতিও স্থিতিস্থাপক হইয় থাকে এবং রবরকে বলপূৰ্ব্বক ভূমিভলে নিক্ষেপ করিলে তৎক্ষণাৎ লাফাইয়। উঠে । পেন্সিলের দাগের উপর রবর ঘষিলে ঐ দাগ উঠিয়া যায় । এতদ্দেশীয় অনেকেই রবরকে শূকরের চর্বিবোধে অপবিত্র জ্ঞান করিয়! থাকেন, কিন্তু বাস্তবিক উছ তাছা নহে,—বৃক্ষবিশেষের নির্যাস মাত্র। দক্ষিণ অামেরিকাতে বটজাতীয় দুইপ্রকার বৃক্ষ জন্মে, তাহণদেরই নির্বাস অর্থাৎ অtঠ হইতে রবর প্রস্তুত হয় । প্রধমতঃ কোন অস্ত্র দ্বার। উক্ত রক্ষ সকলের গাত্র চিরিয়া দেয়, অনন্তর ঐ ক্ষতদেশ হইতে ক্রমশঃ যে আঠ নির্গত হয়, তাহ একত্র করিয়া তদ্বারা কোন কঁাচা মৃত্তিকা-পাত্রের উপর লেপ দিতে হয় । বারস্বর লেপ দেওয়াতে উক্ত নির্বাস ঘনীভূত হইয়া ক্রমশঃ স্থল হইয় উঠে। লেপ দিবীর সময়ে মৃৎপিণ্ডের আকার যেরূপ থাকে রবরও সেইরূপ হয়, অর্থাৎ মৃৎপিণ্ড গোল ছইলে রবর গোলবৎ হয়, চতুষ্কোণ হইলে রবর চতুষ্কোণ হয় ইত্যাদি ।