পাতা:বস্তুবিচার.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& o বস্তুবিচার । মক্ষিকাদিগের বস্তি-দেশের মধ্যভাগে এক পৃথক ইন্দ্রিয় আছে, ভদ্বারা ঐ পদার্থ নির্গত হয় এবং তাহাতেই উহাদের বাসস্থানরূপ মধুক্রম নিৰ্ম্মিত হু ইয়ণথাকে । মধুক্রম হইতে সকল মধু বাহির করিয়া লইলে যাহ অবশিষ্ট থাকে, তাহ রৌদ্রে গলাইলেই মম প্রস্তুত হয় । এই প্রকার মম কিঞ্চিৎ পীতবর্ণ হয় । কিন্তু উক্ত চাক সকল ফুটন্ত জলে গলাইলে পর যে মম হয়, তা ছ। অতি শুভ্রবর্ণ। মমদ্বার বাতি প্রস্তুত করিতে হষ্টলে তরল মমকে সীসের ছাচে ঢালিতে হয় । এ ছাচের মধ্যে শণ বা তুলার বৰ্ত্তিক পূর্বেই প্রদত্ত থাকে । মুক্তরাং শীতল হইয়। বাতি হইলে পর উক্ত বৰ্ত্তিক। তাহার মধ্যভাগেই থাকিয় যায় । অনন্তর উহাকে বাহির করিয়া ঐ বৰ্ত্তিক জ্বলিয়া দিলে নিম্নস্থ য়ৰীভূত মম উহার আঁশে আঁশে উৰ্দ্ধভাগে উঠিয়া জ্বলিতে থাকে। মমবাতির আলোক শুভ্রবর্ণ ও দেখিতে অতি সুন্দর । - তিমিতৈল ও বসাকেও ফুটন্ত জলে দ্রবীভূত করিয়া উক্তরূপ প্রক্রিয়াদ্বারা বাতি প্রস্তুত করে । বসা শরীরের অন্তর্গত তৈলময় একপ্রকার পদাৰ্থ । উহা চৰ্ম্মের নীচেই থাকে । পশ্বাদির বসা অনেক প্রয়োজনে লাগে । বস পৃথক করিতে হইলে বস্থাযুক্ত চৰ্ম্মকে জলে সিদ্ধ করতে হয়, সিদ্ধ করিতে করিতে জলের উপরিভাগে তৈলবৎ যে একপ্রকার পদার্থ ভাসিয় উঠে তাহাকেই জল হইতে তুলিয়। বাতাসে শীতল করিলে পর জমিয়া বস। প্রস্তুত ছয় ।