বাঁশরী
না ডেকেই লজ্জা দিলে আমাকে। ভাবছে আমি অন্নজল ছেড়ে ঘরে দরজা দিয়ে কেঁদে মরছি। ওদের সঙ্গে যখন তোর দেখা হবে কথাপ্রসঙ্গে বলিস, ‘বাঁশী বিছানায় শুয়ে কমিক গল্প পড়ছিল, পেট ফেটে যাচ্ছিল হেসে হেসে।’ নিশ্চয় বলিস।
লীলা
নিশ্চয় বলব, গল্পের বিষয়টা কী বল্ দেখি?
বাঁশরী
হিরোর নাম স্যার চন্দ্রশেখর। নায়িকা পঙ্কজা, ধনকুবেরের মন ভোলাতে লেগেছেন উঠে পড়ে। ওঠার চেয়ে পড়ার অংশটাই বেশি। সেণ্ট্-এণ্টনির টেম্টেশন্— ছবি দেখেছিস তো? দিনের পর দিন নূতন বেহায়াগিরি তোর খুব যে শুচিবাই তা নয়, তবু ক্ষণে ক্ষণে গঙ্গার ঘাটে দৌড় মারতে চাইতিস। দ্বিতীয় নম্বরের নায়িকা গলা ভেঙে মরছে পঙ্ককুণ্ডের ধারে দাঁড়িয়ে। অবশেষে একদিন পৌষমাসের অর্ধরাতে খিড়কির ঘাটে- তুই ভাবছিস হতভাগিনী আত্মহত্যা করে বাঁচল ক্ষিতীশের কল্পনাকে অবিচার করিস নে- নায়িকা জলের মধ্যে এক পৈঁঠে পর্যন্ত নেবেছিল। ঠাণ্ডা জলে ছ্যাঁক্ করে উঠল গা’টা। ছুটল গরম বিছানা লক্ষ্য করে। এইখানটাতে সাইকলজির
১০২