পাতা:বাঁশরী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বিবাহের আসন্ন আশঙ্কাটা সম্পূর্ণ লোপ করে দিলুম। ‘ভালোবাসার নীলামে’ সর্বোচ্চ দরই পেয়েছি, তোমার ডাক সে পর্যন্ত পৌঁছত না। অন্যত্র অন্য কোনো সান্ত্বনার সুযোগ উপস্থিতমতো যদি না জোটে তবে বই লেখো। আশা করি, এবার সত্যের সঙ্গে তোমার পরিচয় হয়েছে। তোমার এই লেখায় বাঁশরীর প্রতি দয়া করবার দরকার হবে না। আত্মহত্যায় এক পৈঁঠে পা বাড়িয়েই সে ফিরে এসেছে।

লীলা

 (বাঁশরীকে জড়িয়ে ধরে) আঃ, বাঁচালি ভাই, আমাদের সবাইকে। সুষমার উপর এখন আর তোর রাগ নেই?

বাঁশরী

 কেন থাকবে? সে কি আমার চেয়ে জিতেছে? লীলা, দে ভাই, সব দরজা খুলে, সব আলোগুলো জ্বালিয়ে বাগান থেকে যতগুলো ফুল পাস নিয়ে আয় সংগ্রহ কবে।

লীলার প্রস্থান। পুরন্দরের প্রবেশ

বাঁশরী

 এ কী সন্ন্যাসী, তুমি যে আমার ঘরে?

১১৭