যেমন রূপ তেমনি সাজসজ্জা, তেমনি বিদ্যেসাধ্যি। অর্থাৎ একালে জম্মালে সে হত ঠিক তোমারি মতে, শৈল। এ দিকে জয়দেবের স্ত্রী যোলো আনা গ্রাম্য, ভাষায় পানাপুকুরের গন্ধ, ব্যবহারটা প্রকাশ্যে বর্ণনা করবার মতো নয়, যে-সব তার বীভৎস প্রবৃত্তি ড্যাশ্ দিয়ে ফুট্কি দিয়েও তার উল্লেখ চলে না। লেখক শেষকালটায় খুব কালো কালীতে দেগে প্রমাণ করেছে যে, জয়দেব সুব্, পদ্মাবতী মেকি, একমাত্র খাঁটি সোনা মন্দাকিনী। বাঁশরী চৌকি ছেড়ে দাঁড়িয়ে তারস্বরে বলে উঠল, ‘মাস্টর্পীস্!’ ধন্যি মেয়ে! একেবারে সাব্লাইম্ ন্যাকামি!
শচীন
মানুষটা চুপ্সে চ্যাপ্টা হয়ে গেল বোধ হয়?
লীলা।
উল্টো। বুক উঠল ফুলে। বললে, ‘শ্রীমতী বাঁশরী, মাটি খোঁড়বার কোদালকে আমি খনিত্র নাম দিয়ে শুদ্ধ করে নিই নে, তাকে কোদালই বলি। বাঁশরী বলে উঠল, ‘তোমার খেতাব হওয়া উচিত নব্যসাহিত্যের পূর্ণচন্দ্র, কলঙ্কগর্বিত।’ ওর মুখ দিয়ে কথা বেয়োয় যেন আতসবাজির মতো।
শচীন
এটাও লোকটার গলা দিয়ে গল? বাধল না?
২০