এ্ম্-এস্সিতে বায়োকেমেস্ট্রি নিয়েছিস। শুনলি তো? বিশ্বে রমণীর রমণীয়তা যে অংশে সেইটিকে কেটে ছিঁড়ে পুড়িয়ে গুঁড়িয়ে হাইড্রলিক্ প্রেস দিয়ে দলিয়ে সল্ফ্যুরিক্ এসিড দিয়ে গলিয়ে তোকে রিসর্চে লাগতে হবে।’ দেখো একবার দুষ্টুমি, আমি কোনো কালে বায়োকেমেস্ট্রি নিই নি। ওর পোষা জীবকে নাচাবার জন্যে চাতুরী। তাই বলছি ভয় নেই, মেয়েরা যাকে গাল দেয় তাকেও বিয়ে করতে পারে কিন্তু যাকে বিদ্রূপ করে তাকে নৈব নৈবচ। সব শেষে বোকাটা বললে, ‘আজ স্পষ্ট বুঝলুম পুরুষ তেমনি করেই নারীকে চায় যেমন করে মরুভূমি চায় জলকে, মাটির তলার বোরা ভাষাকে উদ্ভিদ করে তোলবার জন্যে।’ এত হেসেছি!
তারক
তুমি ত ঐ বললে। আমি একদিন ক্ষিতীশের তালি-দেওয়া মুখ নিয়ে একটু ঠাট্টার আভাস দিয়েছিলেম। বাঁশরী বলে উঠলেন, ‘দেখো লাহিড়ী, ওর মুখ দেখতে আমার পজিটিভ্লি ভালো লাগে। আমি আশ্চর্য হয়ে বললেম, ‘তা হলে মুখখানা বিশুদ্ধ মডার্ন্ আর্ট। বুঝতে ধাঁধাঁ লাগে।’ ওর সঙ্গে কথায় কে পারবে? ও বললে, ‘বিধাতার তুলিতে অসীম সাহস। যাকে ভালো দেখতে করতে চান তাকে সুন্দর দেখতে করা দরকার বোধ করেন
২২