লীলা সাহিত্যে ফার্স্ট্ ক্লাস্ এম্-এ ডিগ্রি দিয়ে আবার সায়েন্স্ ধরেছে। রোগা শরীর, ঠাট্টা তামাশায় তীক্ষ্ণ, সাজগোছে নিপুণ, কটাক্ষে দেখবার অভ্যাস।
লীলা
ক্ষিতীশবাবু, নমস্কার! আপনি ‘সর্বত্র পূজ্যতে’র দলে। লুকোবেন কোথায়, পূজারি আপনাকে খুঁজে বের করে নিজের গরজে। এনেছি অটোগ্রাফের খাতা। সুযোগ কি কম!
কী লিখলেন দেখি। ‘অন্য-সকলের মতো নয় যে-মানুষ তার মার অঙ্গ-সকলের হাতে।’ চমৎকার, কিন্তু প্যাথেটিক্। মারে ঈর্ষা ক’রে। মনে রাখবেন, ছোটো যারা তাদের ভক্তিরই একটা ইডিয়ম্ ঈর্ষা, মারটা তাদের পুজা।
ক্ষিতীশ।
বাগ্বাদিনীর জাতই বটে, কথায় আশ্চর্য করে দিলেন।
লীলা
বাচস্পতির জাত যে আপনারা। যেটা বললেম ওটা কোটেশন। পুরুষের লেখা থেকেই। আপনাদের প্রতিভা বাক্য-রচনায়, আমাদের নৈপুণ্য বাক্য-প্রয়োগে। ওরিজিন্যালিটি আপনার বইএর পাতায় পাতায়। সেদিন আপনারই লেখা গল্পের বই পড়লেম। ব্রীলিয়েণ্ট্। ঐ যে যাতে একজন মেয়ের কথা আছে সে যখন দেখলে স্বামীর মন আর-এক জনের উপরে, বানিয়ে চিঠি লিখলে,