পাতা:বাঁশরী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সোনাকে শাণে চড়িয়ে তার চেক্‌নাই বের করতে পারি, আগে থাকতেই হাতযশ আছে। জহরতকে দামী করে তোলে জহরী, পরের ভোগরই জন্য, কী বল? সুষী, ইনিই ক্ষিতীশবাবু, জান বোধ হয়।

সুষমা

 জানি বৈ কি। এই সেদিন পড়ছিলুম ওঁর ‘বোকার বুদ্ধি’ গল্পটা। কাগজে কেন এত গাল দিয়েছে বুঝতে পারলুম না।

ক্ষিতীশ

 অর্থাৎ বইখানা গাল দেবার যোগ্য এতই কি ভালো!

সুষমা

 ওরকম ধারালো কথা বলবার ভার বাঁশরী আর ঐ আমার পিস্‌তুতো বোন লীলার উপরে। আপনাদের মতো লেখকের বই সমালোচনা করতে ভয় করি, কেননা তাতে সমালোচনা করা হয় নিজেরই বিদ্যেবুদ্ধির। অনেক কথা বুঝতেই পারি নে। বাঁশরীর কল্যাণে আপনাকে কাছে পেয়েছি, দরকার হলে বুঝিয়ে নেব।

বাঁশরী

 ক্ষিতীশবাবু ন্যাচারুল হিপ্পী লেখেন গল্পের ছাঁচে। যেখানে জানা নেই, দগ্‌দগে রঙ লেপে দেন মোটা তুলি দিয়ে। রঙের আমদানি সমুদ্রের ওপার থেকে। দেখে দয়া

৩৫