পাতা:বাঁশরী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বাঁশরী

 লেখো, লেখো সত্যি করে, লেখো শক্ত করে। মন্তর নয়, মাইথলজি নয়, মিনর্ভার মুখোসটা ফেলে দাও টান মেরে। ঠোঁট লাল করে তোমাদের পানওয়ালী যে মন্তর ছড়ায় ঐ আশ্চর্য মেয়েও ভাষা বদলিয়ে সেই মন্তরই ছড়াচ্ছে। সামনে পড়ল পথ-চল্‌তি এক রাজা, শুরু করলে জাদু। কিসের জন্যে? টাকার জন্যে। শুনে রাখো-টাকা জিনিসটা মাইথলজিব নয়, ওটা ব্যাঙ্কের,ওটা তোমাদের রিয়লিজ্‌মের কোঠায়।

ক্ষিতীশ

 টাকার প্রতি দৃষ্টি আছে সেটা তত বুদ্ধিব লক্ষণ, সেই সঙ্গে হৃদয়টাও থাকতে পারে।

বাঁশরী

 আছে গো হৃদয় আছে। ঠিক জায়গায় খুঁজলে দেখতে পাবে পানওয়ালীরও হৃদয় আছে। কিন্তু মুনফা এক দিকে, হৃদয়টা আর-এক দিকে। এইটে যখন আবিষ্কার করবে তখনি জমবে গল্পটা। পাঠিকারা ঘোর আপত্তি করবে, বলবে মেয়েদের খেলো করা হল, অর্থাৎ তাদের মন্ত্রশক্তিতে বোকাদের মনে খট্‌কা লাগানো হচ্ছে। উঁচু দরের পুরুষ পাঠকও গাল পাড়বে। বল কী, তাদের মাইথলজির রঙ চটিয়ে দেওয়া! সর্বনাশ! কিন্তু ভয় কোবো না ক্ষিতীশ, রঙ

৩৯