পাতা:বাঁশরী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

অধিকার খোলা হাওয়ার মতো। তুমি লেখক-প্রবর, তোমার সামনে সমস্যাটা এই যে, খোলা হাওয়ায় সোমশংকরের পেট ভরবে কি?

ক্ষিতীশ

 কী জানি! সুচনায় তো দেখতে পাচ্ছি শূন্যপুরাণের পালা।

বাঁশরী

 কিন্তু শূন্যে এসে কি ঠেকতে পারে কিছু? শেষ মোকামে তো পৌঁছল গাড়ি, এ পর্যন্ত রথ চালিয়ে এলেন সন্ন্যাসী সারথি! আড্ডা-বদলের সময় যখন একদিন আসবে তখন লাগাম পড়বে কার হাতে? সেই কথাটা বলোনা রিয়লিস্‌ট্‌!

ক্ষিতীশ

 যাকে ওরা নাক সিট্‌কে প্রকৃতি বলেন সেই মায়াবিনীর হাতে। পাখা নেই অথচ আকাশে উড়তে চায় যে স্থূল জীবটা তাকে যিনি ধপ করে মাটিতে ফেলে চট্‌কা দেন ভাঙিয়ে, সঙ্গে সঙ্গে সর্বাঙ্গে লাগিয়ে দেন ধুলো।

বাঁশরী

 প্রকৃতির সেই বিদ্রূপটাকেই বর্ণনা করতে হবে তোমাকে। ভবিতব্যের চেহারাটা জোর কলমে দেখিয়ে দাও। বড় নিষ্ঠুর। সীতা ভাবলেন, দেবচরিত্র রামচন্দ্র

৬৪