এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সতীশ
ওদের হৃৎপিণ্ড কেঁপে উঠেছে দ্রুতবেগে, হঠাৎ দেখেছে তোমাকে রণরঙ্গিণী বেশে। তোমার তীর ছোটার আগেই ছুটে বেরিয়ে পড়তে চায়— এইরকম আন্দাজ।
বাঁশরী
আমার তীর! আধমরা প্রাণীকে আমি ছুঁই নে। বনমালী, মোটর ডাকো।
বাঁশরীর প্রস্থান। শৈলর প্রবেশ: বয়স বাইশ কিন্তু দেখে মনে হয় যোললা থেকে আঠারোর মধ্যে; তনু দেহ শ্যামবর্ণ, চোখের ভাব স্নিগ্ধ, মুখের ভাব মমতায় ভরা।
সতীশ
কী আশ্চর্য! ভোরের স্বপ্নে আজ তোমাকেই দেখেছি, শৈল। তুমিও আমাকে দেখেছ নিশ্চয়।
শৈল
না, দেখি নি তো।
সতীশ
আঃ, বানিয়ে বলল-না কেন। বড়ো নিষ্ঠুর তুমি। আমার দিনটা মধুর হয়ে উঠত তা হলে।
শৈল
তোমাদের ফরমাশে নিজেকে স্বপ্ন করে বানাতে হবে।
৭০