পাতা:বাঁশরী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

হয়ে থাকে। মনের মধ্যে মরণবাণ বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে অথচ কবুল করবার মেয়ে নয়। ওর ব্যথায় হাত বুলোতে গেলে ফোঁস্ করে ওঠে, সেটা যেন সাপের মাথার মণি। তাই সময় পেলে কাছে এসে বসি, যা-তা বকে যাই। পশু দিন সকালে এসেছিলুম ওর ঘরে। পায়ের শব্দ পায় নি। ওর সামনে এক বাণ্ডিল চিঠি। ডেস্কে ঝুঁকে পড়ছিল বসে, বেশ বুঝতে পারলুম চোখ দিয়ে জল পড়ছে। যদি জানত আমি দেখতে পেয়েছি তা হলে একটা কাণ্ড রাধত। বোধ হয় আমার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যেত। আস্তে আস্তে চলে গেলুম। কিন্তু সেই ছবি আমি ভুলতে পারি নে। বাঁশি গেল কোথায়?

খানসামা চায়ের সরঞ্জাম রেখে গেল।

সতীশ

 বাঁশি এইমাত্র বেরিয়ে গেছে, ভাগ্যিস্‌ গেছে।

শৈল

 ভারি স্বার্থপর তুমি।

সতীশ

 অত্যন্ত। ও কী, উঠছ কেন? চা তৈরি শুরু করে।

শৈল

 খেয়ে এসেছি।

৭২