পাতা:বাঁশরী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

তারক

 কারণ নেই বলেই তো ভয় বেশি। আজ বাদে কাল বিয়ে কিন্তু মনে হচ্ছে যেন দ্বীপান্তরে চলেছ। ভয়ানক গাম্ভীর্য।

সোমশংকর

 বিয়েটা তো এক লোক থেকে অন্য লোকে যাত্রাই বটে।

তারক

 সব বিয়ে তা নয়, রাজন্। নিজের কথা বলতে পারি। আমার বরযাত্রা হয়েছিল পটলডাঙা থেকে চোরবাগানে। মনের ভিতরটাও তার বেশি এগোয় নি। আমার স্ত্রীর নাম পুষ্প। রসিকবন্ধু তার কবিতায় আমাকে খেতাব দিলে পুস্পচোর। কবিতাটার হেডিং ছিল চৌরপঞ্চাশিকা। কবিকে প্রশ্ন করলেম, চৌরপঞ্চাশিকার একটা কবিতাই তো দেখছি, বাকি ঊনপঞ্চাশটা গেল কোথায়? উত্তর পেলেম, তারা ঊনপঞ্চাশ পবনরূপে বরের হৃদয়গহ্বরে বেড়াচ্ছে ঘুরপাক দিয়ে।

সোমশংকর

 এর থেকে প্রমাণ হয় আমার রসিক বন্ধু নেই, তাই গাম্ভীর্য রয়েছে ঘনিয়ে।

৯০