পাতা:বাঁশী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২
দারোগার দপ্তর, ১৬৬ সংখ্যা।

 সন্ধ্যার পর আমি অন্দর হইতে বাহির হইতেছি, এমন সময়ে জমীদার মহাশয়কে অন্দরে আসিতে দেখিলাম। তাহাকে দেখিতে কাল, অতান্ত বলিষ্ঠ ও গজস্কন্ধ। তাঁহার বয়স চল্লিশের উপর। লোকটাকে দেখিয়াই ভয়ানক দুষ্ট বলিয়া বোধ হইল।

 আমাকে দেখিয়াই তিনি রাগিয়া উঠিলেন। বলিলেন, “তুমি কে হে বাপু? অন্দরে কি করিতেছিলে?”

 কথাগুলি বড় কর্কশ, শুনিয়া আমার বড় রাগ হইল। অবশেষে সাহস করিয়া উত্তর করিলাম, “আমি নতুন চাকর। অজি ভর্ত্তি হইয়াছি।”

 জ। তোমার নাম কি? কোথা হইতে আসিয়াছ?

 আ। আমার নাম সদানন্দ। সম্প্রতি চাকরি না থাকায় এখানে আসিয়াছি।

 জ। অন্দরে আসিয়াছ কেন? কে তোমায় অন্দরে আসিতে বলিল?

 জা। আজ্ঞে, গিন্নীমার হুকুম পাইয়াছি।

 জ। সত্যি না কি? কিন্তু বাপু তুমি সাবধান হইয়া কাজ করিও। তোমার মুখ যেন আমার চেনা বলিয়া বোধ হইতেছে। তোমায় ভদ্রলোক বলিয়া আমার অনুমান হইতেছে। যদি কোন রকম কু-মৎলব থাকে, সরে পড়। কেন বাপু-গরিবের ছেলে, শেষে কি মারা যাইবে?

 আমি যেন অত্যন্ত ভীত হইলাম। ভয়ে কঁপিতে কাপিতে হাতজোড় করিয়া বলিলাম, “না হুজুর! আমার কু-মৎলব কি? খাইতে না পাইয়া আপনার দ্বারস্থ হইয়াছি।”

 জমীদার মহাশয় আমার কথায় আরও গরম হইলেন। বলি-