পাতা:বাঁশী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
দারোগার দপ্তর, ১৬৬ সংখ্য।

প্রত্যেকটা বিশেষ করিয়া পরীক্ষা করিলাম, কিন্তু কোন সন্ধান পাইলাম না। তখন সেই নল দুইটীর নিকট যাইলাম। দেখিলাম, নলের মুখ ঢাকা। মুখের আবরণ খুলিয়া ফেলিলাম, পকেট হইতে দুরবীণটা বাহির করিয়া বেশ করিয়া দেখিলাম। নলের মুখ খোলা হইলে এক প্রকার আমিষ গন্ধ বাহির হইল। সেই গন্ধে আমার আনন্দ হইল। আমি যাহা সন্দেহ করিয়াছিলাম, এখন তাহা সত্য বলিয়া ধারণা হইল; এবং সেই রাত্রেই রহস্য ভেদ করিতে মনস্থ করিলাম।

 প্রায় আধ ঘণ্টার মধ্যেই এই সকল কার্য সমাপন করিয়া আমি প্রাণকৃষ্ণ বাবুর ঘরের দরজা পূর্বের মত বন্ধ করিলাম এবং নিজের জায়গায় আসিয়া আবার শয়ন করিলাম।


নবম পরিচ্ছেদ।

 সন্ধ্যার কিছু পূর্বে শুনিলাম, বাবুর শরীর বড় অসুস্থ। আগেই তাহার শরীর খারাপ ছিল; বিশেষত, সেদিন কলিকাতা নানা কার্য্যে ঘুরিয়া তিনি আরও অসুস্থ হইয়াছিলেন। সুতরাং সান্ধ্য জলযোগ করিয়া সন্ধ্যার পরই বিশ্রাম করিতে গেলেন।

 গৃহিণী যখন নিমন্ত্রণ রক্ষা করিয়া আসিলেন, তখন সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হইয়া গিয়াছে। তিনিও খানিক পরেই পুত্রকে লইয়া। শয়ন-গৃহে গমন করিলেন। সুধাও দাসীর সহিত আপনার ঘরে বিশ্রাম করিতে গেল।