পাতা:বাঁশী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৪
দারােগার দপ্তর, ১৬৬ সংখ্যা।

সেই নলের ভিতর হইতেই ঐরূপ শব্দ আসিতেছে। ক্রমে সেই শব্দ যেন নিকটবর্তী হইতে লাগিল। আমার হাতেই দেশলাই ছিল; আমি তৎক্ষণাৎ জ্বালিয়া ফেলিলাম। যাহা দেখিলাম, তাহাতে আমার অন্তরাত্মা শুকাইয়া গেল। এক ভয়ানক বিষাক্ত কৃষ্ণবর্ণ কেউটে সাপ সেই নলের মুখ হইতে ফোঁস ফোঁস শব্দ করিতে করিতে ধীরে ধীরে বাহির হইতেছে। আমি পূর্ব্বেই ঐরূপ সন্দেহ করিয়াছিলাম এবং সেই জন্য সেই মোটা লাঠী গাছটীও সংগ্রহ করিয়া রাখিয়াছিলাম। ভোলাকে ইঙ্গিত করিয়া, সেই সর্প দেখাইয়া, আমার হাতের লাঠী দিয়া তিন চারিবার সজোরে আঘাত করিলাম। সাপ নিস্তেজ হইয়া পড়িল।  ভোলা আমার কার্য্য দেখিয়া চমৎকৃত হইল,—ভয় করিল না। সেও ঘরের ভিতর হইতে এক গাছি লাঠি লইয়া সাপকে তাড়না করিল। উভয়ের বারম্বার আঘাতে সাপটা প্রায় মর মর হইল। তখন সাপটাকে উত্তমরূপে বাঁধিয়া একস্থানে লুকাইয়া রাখিলাম।

 আমার এই কার্য্য শেষ হইতে না হইতে বাঁশীর শব্দ শুনিতে পাইলাম। তখনই বলিলাম, “ভোলা। আমার সহিত শীগগির আয়?”

 ভো। কোথায়?

 আ। আমাদিগের নিজ নিজ থাকিবার স্থানে।

 আমি ভোলাকে লইয়া সেই স্থান হইতে বাহিরে আসিলাম, ও ভোলাকে আপন স্থানে শয়ন করিতে কহিলাম। সেও নির্দিষ্ট স্থানে শয়ন করিল। আমি ঐ স্থান হইতে দ্রুতপদে বাহির হইয়া, আমার উর্দ্ধতন কর্মচারীর নিকট আসিয়া উপস্থিত হইলাম ও তাহাকে সমস্ত বৃত্তান্ত আগাগোড়া কহিলাম। তিনি সমস্ত অবস্থা