পাতা:বাঁশী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঁশী।
৪৯

দংশিত করাইয়া সুধার ভগ্নীকে হত্যা করিয়াছিলাম; সুধাকেও সেইরূপে নষ্ট করিবার চেষ্টা করিয়াছিলাম, কিন্তু ঈশ্বর হাতে হাতে তাহার ফল প্রদান করিয়াছেন। সুধাকে দংশন করিবার নিমিত্ত একটী সর্পকে নল দিয়া তাহার ঘরে নামাইয়া দিয়াছিলাম, কিন্তু অনেকবার বংশীধ্বনি করিয়াও যখন দেখিলাম, সেই সর্প আর প্রত্যাগমন করিল না, অথচ সুধা জীবিত আছে, তখন দ্বিতীয় সর্পটি পুনরায় তাহার ঘরে প্রবেশ করাইয়া দিবার নিমিত্ত যেমন উহাকে তাহার ঝুড়ি হইতে বাহির করিতে গেলাম, অমনি সে আমাকে ভীষণরূপে দংশন করিল, আমিও অচৈতন্য হইয়া সেইস্থানে পতিত হইলাম। আমি যেরূপ কার্য্য করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছিলাম, তাহার উপযুক্ত ফল প্রাপ্ত হইয়াছি।”

 এই কয়টী কথা বলিবার পরই প্রাণকৃষ্ণ বাবু পুনরায় অচৈতন্য হইয়া পড়িলেন ও তাহার আর কোনরূপেই চৈতন্য সঞ্চার হইল না।

 প্রাণকৃষ্ণ বাবু ইহ-জীবন পরিত্যাগ করিয়া আমাদিগের হস্ত হইতে নিষ্কৃতি লাভ করিলেন। কিন্তু তাহার সেই ভীষণ চরিত্রের কথা কাহারও জানিতে বাকী রহিল না। সামান্য অর্থের লোভে জগতে যে কিরূপ ভয়ানক কার্য্য হইতে পারে, তাহার ভূরি ভূরি দৃষ্টান্ত বর্তমান থাকিলেও, এই আর একটা জাজ্জ্বল্যমান দৃষ্টান্ত সকলের মনে জাগরূক রহিল।

 অমরেন্দ্র বাবুর পুত্রের সহিত সুধার বিবাহ সম্বন্ধ প্রাণকৃষ্ণ বাবু স্থির করিয়া গিয়াছিলেন, তাহার স্ত্রী তাহার স্বামীর ইচ্ছা হির রাখিয়া, অশৌচান্তে শুভদিনে শুভলগ্নে ঐ বিবাহ কার্য্য সম্পন্ন করাইয়া দিলেন। প্রাণকৃষ্ণ বাবু যে সকল বিষয় রাখিয়া গিয়া-