দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ।
______
অমরেন্দ্র বাবুর মুখে সুধার ভগ্নীর মৃত্যুর কথা যেরূপ শুনিলাম, তাহাতে বড়ই আশ্চর্য্য হইলাম। যখন পুলিস হঠাৎ মৃত্যুর কথা শুনিয়াছিল, তখন মৃতদেহ নিশ্চয়ই পরীক্ষা করা হইয়াছিল; এই স্থির করিয়া, অমরেন্দ্র বাবুকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “আপনার ভাবী বধুমাতার ভগ্নীর মৃতদেহ পরীক্ষা করিয়া, ডাক্তার সাহেব কি বলিয়াছিলেন?”
অমরেন্দ্র উত্তর করিলেন, “আজ্ঞে সে কথা আমি বলিতে পারিলাম না। সুধা আমায় সে কথা বলে নাই; সম্ভবতঃ সে কিছু জানে না।”
আমি দেখিলাম, সুধার সহিত এ বিষয়ে একবার কথা না কহিলে কোনরূপ সুবিধা করিতে পারিব না। অমরেন্দ্রনাথকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “আমার বেয়াদবী মাপ করিবেন। আমি একবার আপনার ভাবী পুত্রবধূর সহিত দেখা করিতে ইচ্ছা করি। কোনরূপ সুবিধা হইতে পারে?”
অমরেন্দ্র উত্তর করিলেন, “বিবাহের আগে সুধাকে আর এ বাড়ীতে আনা যায় না। তবে যদি —— আজ্ঞা হাঁ, সুধার সহিত দেখা হইবার সুবিধা করিতে পারি। সুধার মামী আমাদের দুরসম্পর্কের একজন আত্মীয়। তিনি এখন জোড়াসাঁকোয় আছেন। তিনি সুধাকে আইবড় ভাত খাওয়াইবার ছলে