ইমাম ছিল। সে বাঙ্গলীর প্রতি ভাল ব্যাবহার করতো, সে আমাকে খাবার দিত, আমার প্রতি ভাল ব্যবহার করতো।& এবং আমি যখন সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে আসি তখন সে আমার হাত ধরে ক্ষমা চেয়ে নেয়।
৯ দিন পর কর্নেল গুলজারী আমাকে রিলিজ করে দেয়। এই সময় কর্নেল গুলজারী আমাকে বলে দেয় যে তুমি কোন সময়ই বিহারীদের সম্মুখে যাবে না। এবং বিহারীরা যেন তোমাকে কোন জায়গায় না দেখতে পায়। তুমি সব সময় বিহারীদেরকে এড়িয়ে চলবে।
১৯শে জুলাই আমি নেভাল বেস থেকে মুক্ত হই। এই সময় আমার অবস্থা এত খারাপ ছিল যে অমি চলতে ফিরতে পারতাম না। আমি একটা রিক্সা করে বোনের বাসায় চলে যাই। সেখানে আমার ফ্যামিলির সাক্ষাৎ পাই। দেখতে পাই যে আমার পরিবারে অবস্থা খুব খারাপ। কারণ কোনদিন না খেয়েও তারা কাটিয়েছে। আমার দুই ছেলে তখন রাস্তায় ফেরি করে যা রোজগার করেছে তা-ই দিয়ে কোন মতে খেয়ে না খেয়ে আমাদের দিন চলেছে।