পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (অষ্টম খণ্ড).pdf/৪৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8のbr বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : অষ্টম খন্ড পরে জোহা হলসহ অন্যান্য অনেক হল সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলে। সকল হল ষ্টাফ কোয়ার্টার ও অন্যান্য কর্মচারীর বাসা এমনকি লাইব্রেরী ও লেবরেটরী পর্যন্ত হানাদার বাহিনী লুটপাট করে। সংবাদ দাতা পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান ড: হোসেন, অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ড: মোশারফ হোসেন, বাংলা বিভাগের রীডার ড: আবু হেনা মোস্তফা কামাল এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মচারীর সাক্ষাৎ গ্রহণ করেন এবং হানাদার বাহিনীর নানা প্রকার চাঞ্চল্যকর কাহিনী শুনেন। এপ্রিল মাসে ১৪, ১৫ এবং তারিখে যথাক্রমে অংক বিভাগের এসোসিয়েট প্রফেসর জনাব হাবিবুর রহমান, বাংলা বিভাগের এসোসিয়েট প্রফেসর শ্রী সুখরঞ্জন সমাদার এবং মনস্তত্ত্ব বিভাগের ডেমনষ্ট্রেটর এক নজীর পাওয়া যায় একজন অধ্যাপককে হত্যা করার পর তার মেয়েকে একজন মিলিটারী অফিসারের সাথে বাস করতে বাধ্য করার দৃষ্টান্ত থেকে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, প্রাক্তন উপচার্য জনাব সাজ্জাদ হোসেনই ৩০ জন অধ্যাপক এবং অন্য দু’জন অফিসারকে হত্যার একটি তালিকা প্রস্তুত করেছিলেন। একে ৪টি ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। প্রথম শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, ২য় কারাবরণ, ৩য় পদ হতে অপসারণ এবং ৪র্থ বেত্ৰাঘাত । তাছাড়া আরো জানা গেছে যে, ৪ জন অধ্যাপক ট্রাক ভর্তি করে মালপত্র নিয়ে ২৮শে এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু তারা আর ফিরে আসেনি। তারা পশ্চিম পাকিস্তানে চলে গেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আবুল বাশার নামের একজন পিয়ন সংবাদদাতাকে জানায় যে, কেবলমাত্র জোহা হলের নিকটেই ৩ হাজার লোককে সমাধিস্থ করা হয়েছে।