পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (অষ্টম খণ্ড).pdf/৪৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8〉こ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : অষ্টম খন্ড সেই মুহুর্তের মনের অবস্থা আমি ভাষায় বোঝাতে পারবো না। নিশ্চিত বুঝতে পারছি, আমি মরছি। দেশের স্বাধীনতার জন্য মনে মনে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি। খাঁচা থেকে বের করে নিয়ে এসে ওরা আমাকে পাশেই একটি কক্ষে ঢুকিয়ে দিল। খাঁচা আর কক্ষটার মাঝখানে শুধু একটি রেলিং। সেখান থেকে খাঁচার মধ্যে শুকিয়ে যাওয়া রক্তের দাগ দেখতে পাচ্ছিলাম। আচমকা বাঘটা রেলিং টপকে এসে আমাকে আক্রমণ করে বসল। গেল। রাত ৮ টার দিকে আমাকে সে ঘর থেকে ওরা বের করে আনলো। ভাবলাম এবার হয়তো মেরে ফেলবে। না মারলো না। নিজের হাতও দেখতে পাচ্ছি না এমনি একটি অন্ধকার ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে একজন সিপাই বলল, দেখ বিছানা আছে-শুয়ে পড়। হাত দিয়ে যা পেলাম তা হলো একটি চটের ছালা আর ইলেট্রিক হিটার। হাত দুটো জানালার সাথে বাঁধাই রইলো। সকালে ওরা আমাকে মেজর রাজার কাছে নিয়ে গেল। সেখানে আমার বাবাকেও দেখলাম। অদ্ভুত সব প্রশ্ন মেজর রাজার। কোন জেলায় বাড়ীর সংখ্যা বেশী? বললাম, জানি না। ঠাকুরগাঁয়ে কত মেয়ে আছ? বললাম, আপনি বলুন। অবাঙ্গলীদের মেরে ফেলেছে। এরপর কর্নেলের কাছে আমাকে পাঠানো হলো। অনেক সদুপদেশ দিয়ে কর্নেল আমাকে ছেড়ে দিল। এরপর আরো একবার মেজর তাকে তলব করেছিল।