পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (অষ্টম খণ্ড).pdf/৪৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8○○ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : অষ্টম খন্ড মৌলভীবাজারে আরো বধ্যভূমির ংবাদ ২৬ ফেব্রুয়ারী, ১৯৭২ সন্ধান মৌলভীবাজারে আরো অনেক বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে মৌলভীবাজার, ২৫শে ফেব্রুয়ারী (এনা)- শেরপুর জেটিতে হানাদার বাহিনীর বর্বরতার সাক্ষী এমন একটি বধ্যভূমি আবিষ্কৃত হয়েছে। এখানে প্রায় ১ হাজার ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। তারপর মৃতদেহগুলো কুশিয়ারা নদীতে ছুড়ে ফেলা হয়। বরুরা চা বাগানের পশ্চিমে আচেরাতে আর একটি বধ্যভূমির খবর পাওয়া গেছে। জনসাধারণের সহায়তায় পুলিশ এটি আবিষ্কার করেছে। শ্রীমঙ্গল কলেজের পূর্বদিকে এই বধ্যভূমিটি ছিল। এখানে ৪৩ জন চা বাগান শ্রমিককে হত্যা করা হয়। মৃতদেহগুলো একসাথে একটি গর্তে কবর দেয়া হয়। সাধুবাবাতেও তাঁরা আর একটি বধ্যভূমি আবিষ্কার করেছেন। এখানে জল্লাদরা ৫০ জন হতভাগ্যকে হত্যা করে। ভাগ্যগুণে চারজন রক্ষা পায়। তারা মরেনি কিন্তু আহত হয়েছিল। এই মর্মান্তিক ঘটনা তাঁরাই বর্ণনা করেন। আর একটি বধ্যভূমি আবিষ্কৃত হয়েছে কুলাউড়া রেল ক্রসিংএ। এখানে একটি কবরে চল্লিশটি কংকাল পাওয়া গেছে। জল্লাদদের আর একটি বধ্যভূমি ছিল মৌলভীবাজার কোর্ট। এখানে ৩৫ জনকে হত্যা করে জল্লাদরা। তারপর মৃতদেহগুলো গর্তে কবর দেয়া হয়। বারবাড়ীতে আর একটি বধ্যভূমি আবিষ্কৃত হয়েছে। মৌলভীবাজার শহর থেকে দুরত্ব আধা মাইল। এখানে যে কত লোককে হত্যা করা হয়েছে তার সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।