পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (অষ্টম খণ্ড).pdf/৫০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Գ(չ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : অষ্টম খন্ড শিরোনাম সূত্র তারিখ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের পূর্বদেশ ১১ জুন, ১৯৭২ ক’জন শহীদ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ক'জন শহীদ মরণের দামে জীবনকে যাঁরা কিনলেনশহীদদের নামে নামকরণ করা হয়েছে ক’টি ছাত্রাবাসের ইয়াহিয়ার জল্লাদ বাহিনী অন্যান্য জায়গার মত রাজশাহী জেলার অসংখ্য মানুষকে খুন করেছে। খুন সাইফুল, কাইয়ুম, মান্নান, মোস্তফা, মনসুর, সিরাজ ও শামসুলকে। কাজী নুরুন্নবী। অত্যন্ত চেনা একটি মুখ। একজন সংগ্রামী ছাত্রনেতা। ছাত্রদের অধিকার আদায়ের অগ্রনায়ক। ভয় কি জিনিস তিনি জানতেন না। ১ম বর্ষ থেকে ৫ম বর্ষ পর্যন্ত তিনি অধিকার আদায়ের বিপ্লবী যোদ্ধা। কাজী নুরুন্নবীর বাড়ী রাজশাহী জেলার নওগাঁ মহকুমার কাজীপাড়ায়। জল্লাদ ইয়াহিয়ার পাকবাহিনী অধিকৃত আমলে তিনি (কাজী) সম্পূর্ণভাবে অসহযোগিতা করেন। এমনি সময়ে ৫ম বর্ষের পরীক্ষা শুরু হলো। তিনি পরীক্ষা দানে বিরত রইলেন। শোনা যায় সেই মুহুর্তে তিনি গোপনে রাজশাহীতে কিছু অনুসন্ধান চালান। অনুসন্ধানকালে পাকবাহিনীর একজন দালাল রাস্তায় তাঁকে দেখা মাত্র ক্যান্টনমেন্টে গার্ড দিয়ে নিয়ে যায়। তারপর আর তাঁর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। পাকিস্তানী পতাকা পোড়ানো অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়। সম্প্রতি শহীদের মহীয়সী মা, মেডিক্যাল কলেজ প্রধান ছাত্রাবাসের ‘শহীদ কাজী নুরুন্নবী ছাত্রাবাস’ নামকরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অধিকার আদায়ের আরেক সংগ্রামী নায়ক ছিলেন ৫ম বর্ষের (নতুন) শহীদ আবুল আমজাদ। অত্যন্ত মিষ্টিভাষী, মিশুক ছিলেন। ডাক নাম পেয়ারা’ নামে বন্ধুদের নিকট তিনি প্রিয় ছিলেন। ছাত্র হিসেবে ছিলেন খুবই মেধাবী। রাজশাহীস্থ আন্তর্জাতিক হেরিকেন মিউজিক পার্টির অন্যতম সদস্য ছিলেন। তিনি ভাল গিটার বাজাতেন। পেয়ারার বাবা কুষ্টিয়ার মেহেরপুর কলেজের ভূতপূর্ব অধ্যাপক ছিলেন। এরপর তিনি কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের সহকারী অধ্যক্ষ ছিলেন। ইয়াহিয়ার আমলের দুর্যোগপূর্ণ দিনগুলোতে তিনি, পেয়ারা ও পেয়ারার ছোট ভাইকে নিয়ে আশঙ্কায় কাল যাপন করছিলেন। কিন্তু একদিন পর নরপশুরা এসে বাসা থেকে পেয়ারা ও তার বাবাকে ধরে নিয়ে গেল। আর ফিরে এলো না। নাটকীয়ভাবে বেঁচে গেলো তার ছোট ভাই। আর তাই পেয়ারার দেশের বাড়ীতে মা, ভাই-বোনদের সব ভার এসে পড়লো ঐ ছোট ভাইটির ঘাড়ে। শহীদের নামে শহীদ আবুল আমজাদ ছাত্রাবাস নামকরণ করা হয়েছে। সুন্দর, সুশ্রী, এক কথায় স্মার্ট বলতে যা বোঝায় সবগুলি গুণ ছিল কাজল কুমার ভদ্রের। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের সবচেয়ে চেনা মুখ। কাজল- কাজলদা একগাল হেসে কথা বলতেন। তিনি তখন তৃতীয়