পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (অষ্টম খণ্ড).pdf/৫৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(*SS বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : অষ্টম খন্ড ১৯৭১ সালের ২রা এপ্রিল কতিপয় অবাঙ্গালী তাঁর ওয়ারীস্থ বাসভবনের সামনে একজন বাঙ্গালী যুবককে ধারালো অস্ত্র দ্বারা হত্যার আয়োজন করলে জনাব সিদিক তার প্রতিবাদ জানান এবং যুবকটিকে সেদিন অনিবার্য মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন। এতে করে পাকবাহিনীর সহযোগিতায় সেই দালালেরা কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর বাসভবন ঘেরাও করে ৭০/৮০ রাউণ্ড গুলি ছোঁড়ে। পরে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে লুটতরাজ করে এবং বাড়ির ছোট থেকে শুরু করে সকলকে বন্দুকের নলের সামনে দাঁড় করায়। ভাগ্যক্রমে সে যাত্রা জনাব সিদিক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা রক্ষা পান। বাঙ্গালী যেখানে দুর্ভাগ্যের কবলে পতিত সেখানে আমি বৃথা আত্মরক্ষার চেষ্টা করবো কিভাবে? আত্মরক্ষা তিনি করেননি। নিয়তি তাঁকে টেনে নিয়ে গেছে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে। আমরা সবাই যখন জল্লাদবাহিনীর আত্মসমর্পণের সংবাদ শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম ঠিক এমনি সময়ে, ১৪ই ডিসেম্বরের সন্ধ্যায় তাঁর বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ালো আল-বদরের একটি মাইক্রোবাস। যাবার সময় তিনি বললেন, ‘এপ্রিলের দুই তারিখে যখন ফিরে এসেছি ইনশাআল্লাহ এবারও ফিরে আসবো’ জনাব সিদিকের পরিবারবর্গ ও আত্মীয়স্বজন এখনো তাঁর ফিরে আসার পথের দিকে অধীর আগ্রহে চেয়ে আছেন। সদালাপী, মিষ্টিভাষী ও পরোপকারী জনাব সিদিকের বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৬ বৎসর। তাঁর পৈতৃক নিবাস ঢাকা জেলার মানিকগঞ্জে। নার্গিস মজিদ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মরণে বাংলা একাডেমী, ১৯৭৩