পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (একাদশ খণ্ড).pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : একাদশ খন্ড গেরিলাদের সহায়ক শিক্ষামূলক অপর একটি ইশতেহার গেরিলা যুদ্ধ ও প্রাসঙ্গিক বলে সন্নিবেশিত করা হয়েছে (পৃঃ ৫০১-৫০৪)। যুদ্ধ পরিচালনার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধারা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক তৎপরতাও চালাতেন। তারা বিভিন্ন প্রচারপত্র ও ইশতেহারের মাধ্যমে জনগণকে যেমন যুদ্ধে অংশগ্রহণ ও সমর্থনের আহবান জানাতেন, দলত্যাগের পরামর্শ দিতেন (পৃঃ ৫১১, ৫২৯, ৫৩৬, ৬২৬-২৮)। তারা মুক্তিযোদ্ধা ও জনগণকে পরিচিতিপত্র প্রদান (পৃঃ ৫০৯, ৫৩৮), ব্যবসা-বানিজ্য নিয়ন্ত্রন এবং রাজস্বও আদায় করতেন (পৃঃ ৫২২-২৩)। স্বাধীনতা যুদ্ধকালের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একদল তরুণ অফিসারের প্রথম কমিশনপ্রাপ্তি। ১৯৭১ সালের ৯ই অক্টোবর অনুষ্ঠিত অভিষেক অনুষ্ঠান শেষে কমিশন প্রদান করেছিলেন অস্থায়ী রাষ্টপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম (পৃঃ ৭০৮)। প্রথম দলে কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদেরই একজন লে. ওয়ালী তার ডায়েরীতে ৫৪ জন সহকর্মীর স্বাক্ষরসহ বক্তব্য রেখেছিলেন প্রশিক্ষণ চলাকালে। এগুলি বর্তমান খন্ডে সন্নিবেশিত হলো এই উদ্দেশ্যে যে, এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম কমিশনপ্রাপ্ত তরুণ অফিসারদের দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার তীব্র আকাঙ্ক্ষার পরিচয় মিলবে (পৃঃ ৬৩১-৬৩৯)। স্বাধীনতা যুদ্ধকালে শত্রর হাতে অসহায়ভাবে যে লক্ষ জনতা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের নাম যেমন রক্ষিত হয়নি তেমনি রক্ষা করা যায়নি প্রতিটি শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামও। তথাপি অধিনায়ক বা সহযোদ্ধাদের কেউ কেউ চেষ্টা করেছিলেন সামান্যসংখ্যকের হলেও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম লিপিবদ্ধ করার। এই প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে ১ ও ১১ নং সেক্টরদ্বয়ের শহীদদের মধ্যে যাদের কথা জানা গেছে তাদের নাম মুদ্রিত হয়েছে বর্তমান গ্রন্থের ৫৪৬ পৃষ্ঠায়।