পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (একাদশ খণ্ড).pdf/৫১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

486 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : একাদশ খন্ড (গ) মুক্তিবাহিনী লুটতরাজ, হত্যাকান্ড, ধরষণ বা অরথ সংগ্রহের ইত্যাদি অন্যায় কার্যে কখনই লিপ্ত হবে না- এর শাস্তি মৃতদন্ড। (ঘ) কোন অপারেশনের লুটের মাল ছোবে না। কোন সরকারী গুদাম ইত্যাদি দখল করা হলে স্থানীয় লোকদের মধ্যে গুদামজাত মাল যাতে বিতরণ হয় তাই দেখবে- নিজেরা জড়িয়ে পড়বে না। কোন শত্রর চর নিহত হলে তার উত্তরাধিকারীরা তার সম্পত্তির মালিকানা পাবে। (ঙ) অপারেশনের পরিকল্পনা সম্বন্ধে শুধু যার জানা প্রয়োজন সে ছাড়া অন্য কারো সংগে আলোচনা করবে না। (চ) একই জায়গায় স্থিতিশীল হবে না- সর্বদা চলমান না থাকলে সেটা আতুঘাতী হবে। মুক্তিবাহিনীর দলপতি হিসেবে নিম্নলিখিত কতব্যগুলো অবশ্যই সম্পাদন করতে হবে S পুলিশ বিভাগসহ পাকিস্থান সরকারের সকল প্রশাসন যন্ত্রকে বিকল করা SI পাক সেনা রাজাকার ও পুলিশ বাহিনীর অত্যাচার থেকে বেসামরিক জনসাধারণের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। ○| দুর্ভিক্ষকালীন সময় বেসামরিক জনগণকে খাদ্য সরবরাহ। 8 | যথাসাধ্য আর্তের চিকিৎসা ব্যবস্থা। (*| শিশুদের বিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রণসহ সকল স্তরের মানুষকে তার নিজের পেশাগত কার্যে ব্যস্ত রাখতে হবে-যেমন কর্মকার, ছোট ছোট ব্যবসায়ী ও চাষী প্রত্যেকেই তার নিজের কাজে ব্যস্ত থাকবে। ৬। মুক্তিবাহিনী সদস্যদের মধ্যে একতা, শৃঙ্খলা ও আমাদের মহৎ উদ্দেশ্যের প্রতি অটুট বিশ্বাস অবিচল থাকে তার খেয়াল রাখা। শপথনামা আমি এতদ্বারা আল্লাহ/ভগবানকে সাক্ষী রাখিয়া প্রতিজ্ঞা করিতেছি যে, বাংরাদেশের স্বাধীনতার জন্য আমার জীবন উৎসরগ করিতে আমি প্রস্তুত। আমি আরও অঙ্গীকার করিতেছি যেঃ (ক) সর্বদা বাংলাদেশের জনসাধারণের প্রতি আইনতঃ সরকারের প্রতি ও মুক্তিবাহিনীর প্রতি আনুগত্য থাকিব। (খ) নিজের জীবন বিপন্ন করিয়া ও সকলভাবে বাংলাদেশের জনসাধারনের কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করিব। (গ) আমাদের প্রধান শত্রুপশ্চিম পাকিস্থানী সেনাবাহিনীর ধ্বংস সাধনে লিপ্ত থাকিব। (ঘ) কোন লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ বা অন্য কোন অসামাজিক কাজে লিপ্ত হইব না। কোন লুটের মাল ছোব না। (ঙ) নারী ও শিশুদের প্রতি কোন অশোভন আচরণ করিব না। (চ) মুক্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারন না করিলে কোন বাঙ্গালীকে হত্যা করিব না ও হত্যা করিতে কাহাকেও সাহায্য করিব না।