পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (একাদশ খণ্ড).pdf/৫৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

506 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : একাদশ খন্ড কখনও ইন্সপেক্টর কখনও দারোগা প্রভৃতি সাজিয়া বহু লোকের কাছ থেকে বহু টাকা পয়সা প্রতারণা করে জোগাড় করেছে। এই অঞ্চলে গত ইলেকশনের সময় সে প্রগতিশীল ও স্বাধীনতাকমীদের উপর সশস্ত্র হামলা চালাইয়াছিল। চরমান্দালিয়া গ্রাম পোড়ানোর পর সে লোকজনকে বলে “শালাদের ঠাণ্ডা করেছি এবার তোরা মুসলিম লীগ জিন্দাবাদ পাকিস্তান জিন্দাবাদ বল, নইলে তোদেরও খতম করব।” এসব শোনার পর ও তার পূর্ব কার্যকলাপের দরুন আমরা তাকে খতম করার সিদ্ধান্ত নিই। আমি ও এ গ্রামের অন্যান্য যুবকরা মিলে গত ২৩শে জুলাই শুক্রবার রাত্রে তাকে খতম করে দেই। মোশারফ দালালকে খতম করার পর আমাদের অঞ্চল সম্পূর্ণরূপে পাক দালালমুক্ত হয়েছে। নতুন গেরিলা সৃষ্টি আমরা জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক প্রচারণা চালিয়ে গ্রামের প্রায় ৫০ জনের মত লোককে মানসিক দিক থেকে গেরিলা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছি। তারা মিঞার (সি-২৫৭) সাথে কিছু লোককে ভারতে পাঠাচ্ছি। তারা এ মাসেই ভারতে পৌছবে ও বিভিন্ন ক্যাম্পে গেরিলা যুদ্ধের ট্রেনিং নিবে। আমরা এখন অস্ত্র সংকটে ভুগছি। আমাদের গ্রেনেড শেষ হয়ে গেছে। পাক বাহিনী সংখ্যার দিক থেকে বেশী হওয়ায় আমরা তার ক্ষতি সাধন করলে তার কাছ থেকে কোন অস্ত্র উদ্ধার করতে পারি নাই। আমরা এখন নিরস্ত্র অবস্থায় আছি। তারা মিঞা (সি-২৫৭) আরও অস্ত্রের জন্য ভারতে আসছে। আপনি দয়া করে আমাদের দুইজনকে দুটি অটোমেটিক হাতিয়ার দিয়ে দেবেন। আমরা আমাদের সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে পাক বাহিনীর ও তার দালালদের প্রতিরোধ করব। মনোহরদী স্বাঃ/- মোহাম্মদ রফিকুল আলম ঢাকা সি-২৫৬ ২৬শে জুলাই, ১৯৭১ শ্রীনগর গেরিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।