পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (একাদশ খণ্ড).pdf/৬৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

631 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : একাদশ খন্ড শিরোনাম উৎস তারিখ ৯৯। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম সাপ্তাহিক ‘রোববার’ অক্টোবর, কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের অটোগ্রাফ ঢাকা Հ8»ԳՀ) ২৩ মার্চ, ১৯৮০ অনেকেই জানেন না বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম অফিসারদের কথা। যুদ্ধের মধ্যে দিয়েই এইসব অফিসারের জন্ম। এসব অফিসারের পরম গৌরব যে, মাতৃভূমি হানাদারমুক্ত করার জন্যে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছেন-অনেকে জীবন দিয়েছেন। ৯ অক্টোবর ৭১-এ সব অফিসারদের সামরিক ভাষায় ‘পাসিং আউট হয়। তৎকালীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম অফিসারদের সালাম গ্রহণ করেন এবং তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। ৯ অক্টোবর এসব তরুণ অফিসার সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ার মুহুর্তে ওয়ালীর এক ছোট ডায়েরীতে তাদের “অটোগ্রাফ” দিয়েছেন। সাথে লিখেছেন দু’এক ছত্র কথা কবিতা। ওয়ালী ছিলেন প্রথম কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের একজন। সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে তাকে ৮ম বেঙ্গল রেজিমেন্টে পোষ্টিং দেয়া হয়। ডায়েরিতে স্মৃতি হয়ে রয়েছে তরুণ ৬১ জন অফিসারদের “অটোগ্রাফ”। কালের সাক্ষী ডায়েরী থেকে সেসব কথা কাহিনীর কিছু কিছু কথা তুলে ধরা হলো। “আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা রইলো।” শওকত “বাঙ্গালী মরে একবার। দুইবার নয়।” ফারুক ২ লেফটেন্যান্ট “ওলি, বিশ্ব কবির সোনার বাংলা জীবনানন্দের রূপসী বাংলা রূপের যে তার নেইকো শেষ। এই সোনার বাংলাকে যারা শ্মশানে পরিণত করেছে - তাদেরকে পরাজিত করে পবিত্র মাতৃভূমিকে বাংলার প্রতিটি ধুলিকণা-সেই ঐতিহ্য সমৃদ্ধ হোক আমাদের বীরত্বে। জীবন দিয়ে হলেও আমরা দেশকে স্বাধীন করবো। সেক্টর-১ জয়বাংলা!” ২৪শে আশ্বিন ১৩৭৭ প্রীতিমুগ্ধ বাবুল সে; লেঃ মনসুরুল আমিন