পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (একাদশ খণ্ড).pdf/৬৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

656 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : একাদশ খন্ড সামরিক চক্রের দ্বারা বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য মুক্তিফৌজ আবেদন জানিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের আশ্বাসবাণী স্মরণ করিয়ৈ দিয়ে ইস্তাহারে বলা হয়েছে যে, সম্মিলিতভাবে সংগ্রাম করুন। শীঘ্রই স্বাধীনতা অর্জিত হবে। পাক সৈন্যের নতুন পালানো কৌশল সৈন্যরা তাদের কমান্ডিং অফিসারকে গুলি করে মেরে ফেলে এবং পরে পিছু হটে যায়। -সাপ্তাহিক বাংলাদেশ, ১৯ জুলই, ১৯৭১ ঠাকুরগাঁর জগদলপুর থানা মুক্তিফৌজের হাতে পাক দখলদারদের মনোবল ভাঙছে নিজস্ব প্রতিনিধি শিলিগুড়ি, ১৮ জুলাই-গত ককেদিন ধরে প্রচন্ড লড়াইয়ের পর মুক্তিফৌজ বৃহস্পতিবার পাক দখলদার বাহিনীর কবল থেকে ঠাকুরগাঁর জগদলপুর থানাটি ছিনিয়ে নিয়েছে। জগদলপুর ইসলামপুর সীমন্তের উল্টোদিকে। গত কয়েকদিনে মুক্তিফৌজ ২৩ জন পাক সেনাকে খতম করে। আরও খবর, মাদারীপাড়া সীমান্ত ঘাঁটির উপর আক্রমণ চালিয়ে মুক্তিফৌজ বেশ কিছু পাক সেনাকে খতম করে। বাকি পাক সেনারা পালিয়ে যায়। সীমান্ত চৌকি দখল নেওয়ার পর মুক্তিফৌজ সেখানে থেকে প্রচুর রসদ বিশেষ করে ৫০০ মন চাল পায়। উত্তর রণাঙ্গন থেকে যে সব খবর আসছে তাতে পাক দখলদার বাহিনীর মনোবল ক্রমশই ভেঙ্গে পড়ছে এবং ঘাঁটি ছেড়ে ৫ থেকে ৭ মাইল ভেতরে দৌড়াচ্ছে। দিনহাটার উল্টোদিকে ভুরুঙ্গামারি এখন মুক্তিফৌজের দখলে। এ ছাড়া গত কয়েক সপ্তাহে মুক্তিফৌজ ও কমান্ডোরা যুগপৎ আক্রমণ চালিয়ে দিনাজপুর ও রংপুর জেলার অন্তত ৪২টি সীমান্ত চৌকি পুড়িয়ে দিয়েছে। উদ্দেশ্য হল, পাক দখলদাররা কোনক্রমে ওই সব সীমান্ত চৌকি যাতে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার না করতে পারে। রংপুর সেক্টরে মোগলহাট, হাতিবান্ধা, বড়খাতা, ওদিকে দিনাজপুর সেক্টরে পাঁচ বাড়ি, পাঁচ বিবি, আতোয়ার, পাক হিলি ও গৌরীপুর এলাকায় মুক্তিফৌজ ও কমান্ডোদের আক্রমণে দখলদাররা বিপর্যস্ত। -আনন্দবাজার, ১৯ জুলাই ১৯৭১ পাক ফৌজের জুজুর ভয় (গৌহাটি অফিস থেকে) ১৯জুলাই বাংলাদেশে দখলদার পাক ফৌজ শ্রীহট্ট জেলায় চাষীদের বাঁশের টোকা (ছাতা) ব্যবহার নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। পাকসৈন্যদের আতংকের কারণ হলো যে, ইতিপূর্বে মুক্তি ফৌজের লোকেরা টোকার মধ্যে অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ লুকিয়ে নিয়ে কিছু পাক সেনাকে খতম করেছে। এখন আতংকগ্ৰস্ত টোকা ব্যবহার নিষিদ্ধ করে ঢালাও আদেশ জারী করেছে। -আনন্দবাজার প ত্রক * この জুন ই, Ֆի, ԳՖ

};