পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (একাদশ খণ্ড).pdf/৬৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

658 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : একাদশ খন্ড তৃতীয় এক আক্রমণে আখাউড়ার কিছু দূরে কালবেরায় আরও একদল শত্রসেনাকে খতম করা হয়। এই অঞ্চলে একটি রেল সেতুরও বিশেষ ক্ষতি করা হয়। গত মঙ্গলবার কুমিল্লা শহরে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল কয়েকটি পাক সেনা কেন্দ্রের ওপর আক্রমণ দিকে চম্পট দেয়। সংবাদ পাওয়া গেছে, পাক সেনাদের মনোবল খুব ভেঙ্গে পড়েছে। অপরদিকে এই সব গেরিলা আক্রমণ বাংলাদেশের জনগণের মনে নতুন শক্তি ও সাহস জাগিয়েছে। আহত হয়। মুক্তিবাহিনী রাজাগঞ্জ থানা, সার্কিট হাউজ এবং কুমিল্লা ক্যান্টেনমেন্টের ওপর মর্টার আক্রমণ চালায়। এই সব সংঘর্ষে পাক সেনাদের বহু হতাহত হয়েছে। শ্রীহট্ট, কুষ্টিয়া, ও রাজশাহীতে তৎপরতা মুজিবনগর, ২২শে জুলাইন্ড আজ এখানে প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, মুক্তিবাহিনী শ্রীহট্ট, রাজশাহী ও কুষ্টিয়া জেলার পাকিস্তানী ফৌজের অবস্থানের ওপর অবিরাম চাপ অব্যাহত রেখেছে এবং গত ২৪ ঘণ্টায় ঐ সব অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বহু পুল ধ্বংস করেছে। মুক্তিফৌজ পদার তীরস্থ তাঁদের ঘাঁটি থেকে নদী পার হয়ে গত রাতে রাজশাহী শহরের উপর আকস্মিক হানা দেয় এবং চারজন পাকিস্তানী আধা সামরিক ও দুইজন কুইসলিংকে পাকড়াও করে। গত রাতে কুষ্টিয়া জেলায় পাক সৈন্যদের সঙ্গে মুক্তিফৌজ গেরিলদের জোর সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময় হয়। রংপুরে সংঘর্ষ গত ১৮ল্ড১৯ জুলাই রংপুরে বরখাতা ও চৌইলাদি এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাক সৈন্যদের দুই দুই বার ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। পাক সৈন্যরা সরে যেতে বাধ্য হয়। এক ডজন পাক সৈন্য খতম ময়মনসিংহে মুক্তিযোদ্ধারা ১৭ল্ড১৮ই জুলাই রাতে সৈন্য বাহিনীর টেলিফোন লাইন কেটে দেয়। করিমগঞ্জের নিকটে এক সংঘর্ষে তারা বারোজন পাক সৈন্যকে খতম করে। মেহেরপুর পাওয়ার হাউস আক্রমণ কৃষ্ণনগর, ২২শে জুলাই সীমান্তের অপর পার থেকে এখানে প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, মুক্তিফৌজ গত রাতে কুষ্টিয়া জেলায় মেহেরপুর পাওয়ার হাউসের উপর আকমণ চালিয়ে উহার ট্রান্স ফার্মাটি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়। গেরিলারা কুষ্টিয়ায় পাক মুসলিম লীগ অফিস আক্রমণ করে এবং একজন লীগ নেতাকে হত্যা করে। গত রাতে কাঠুলী গাংরী সড়কে মুক্তিফৌজ অপর একজন লীগপন্থীকেও হত্যা করেছে। যুগান্তর ২৩ জুলাই ১৯৭১ বাংলাদেশের কনিষ্ঠতম মুক্তিসেনা ( নিজস্ব প্রতিনিধি) ছেলেটা এখানে বসে টেবিলের এটা ওটা নাড়াচাড়া করছিল যেমন আমাদের ঘরের তের বছরের চঞ্চল ছেলেরা করে। এই তো কৈশোর তারুণ্যের সীমান্তে। এবং নামও তরুণ হোসেন জোয়ারদার।