পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (একাদশ খণ্ড).pdf/৬৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

670 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : একাদশ খন্ড ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কমান্ডোরা টেলিফোন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ফলে রাজশাহী-ঈশ্বরদীর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এই আক্রমণের পর পর খান সেনাবাহী একটি ট্রেন উক্ত পথ দিয়ে গমনকালে দুঃসাহসী কমান্ডোরা মাইনের সাহায্যে ট্রেনটি উড়িয়ে দেয়। ফলে বহু শত্রসেনা হতাহত হয়। পরে কমান্ডোরা আড়ানী বাজারে একটি ব্যাংকে অবস্থানরত শত্রসেনার পদলেহী দালালদের উপর আক্রমণ চালিয়ে ৭ জন হত্যা করেন। এর কাছে বাঙ্কারে অবস্থানরত খান সেনারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পালিয়ে গেলে মুক্তিযোদ্ধারা বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র দখল করেন। সম্প্রতি তথাকথিত শান্তি কমিটির ১১ জন গুন্ডা অনুপনগরের জনৈক ডাক্তারকে হত্যা করতে গেলে বাংলার অতন্দ্র প্রহরী গেরিলা যোদ্ধারা এক অতর্কিত হামলা চালিয়ে ৩ জনকে হত্যা করেন। আমাদের সংবাদদাতা জানাচ্ছেন যে, গত ৭ই আগষ্ট মুক্তিবাহিনী মর্টার, মেশিনগান ও হাতবোমা নিয়ে গোদাগাড়ী থানায় অতর্কিত আক্রমণ চালায়। মর্টারের গোলার আঘাতে থানাটি বিধ্বস্ত হয় এবং দখলদার বাহিনীর তিনজন রাজাকার নিহত হয়। গত ৫ই আগষ্ট কুমিল্লা সেক্টরে নয়নপুর শত্রু ঘাঁটিতে মুক্তিযোদ্ধারা এক অতর্কিত হামলা করে বহু খান সেনা হতাহত করে। নেতা মাওলানা ওসমান গনি ও থানা ফুড ইন্সপেক্টরকে গেরিলা যোদ্ধারা হত্যা করেছেন। মওলানা ওসমান -জয় বাংলা, ১০ আগষ্ট, ১৯৭১ 米 米 :}; #: দিনে জঙ্গী কবলে, রাতে মুক্তি সেনার ঢাকায় অবিরাম গেরিলা আক্রমণে খান সেনাদের আতংক,মনোবল ভঙ্গ মুজিবনগর, ১০ই আগষ্ট (পিটিআই)-ঢাকা শহরের মুক্তিবাহিনীর গেরিলাদের অবিশ্রান্ত আক্রমণের ফলে দখলদার খান সোনদের মনে সর্বদার জন্য আতংকের সঞ্চার হয়েছে। তাদের মনোবল এখন কেবল ভাটির দিকে যাচ্ছে। এই খবর খোদ ঢাকা শহর থেকেই পাঠিয়েছেন একজন সংবাদদাতা। উপরোক্ত সংবাদে আরও প্রকাশ, ঢাকা শহর দিনের বেলায় তাকে পাকিস্তানী সৈন্যদের অধিকারে কিন্তু সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই সম্পূর্ণ চিত্রটি যায় বদলে। রাত্রি সমাগমের সঙ্গে সঙ্গে শোনা যায় কান ফাটানো আওয়াজ, বোমা ও গ্রেনেডের বিস্ফোরোণ, মুক্তি সংগ্রামী দল ও শত্রস্থানীয় পাকিস্তানী সৈন্যদের মধ্যে অবিরাম গোলাগুলী বিনিময় হয়। দিনের উদ্বেগপূর্ণ স্তব্ধতা খান খান হয়ে যায় রাতের ভয়ংকর শব্দে। উপরোক্ত সংবাদদাতা ঢাকা শহরের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখার সময় লক্ষ্য করেছেন, পাকবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারগণ বাংলাদেশের গেরিলাদের আক্রমণে বিধ্বস্ত সেতু, কালভার্ট, বৈদুতিক থাম প্রভৃতি সারাই করছে। কয়েকদিন আগ মুক্তিবাহিনী সিদ্ধিরগঞ্জ, বৈদুতিক ষ্টেশন এবং গুলবাগের স্টেশনটিও ধ্বংস করে দিয়েছেন। -যুগান্তর, ১১ আগষ্ট, ১৯৭১ গেরিলাদের তৎপরতায় ঢাকায় কন্টিনেন্টাল হোটেল বিধ্বস্ত ঢাকা ১২ই আগষ্ট (এপি)- মুক্তিবাহিনীর গেরিলাদের বোমাবর্ষণের ফলে গত মঙ্গলবার ঢাকা শহরের ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের প্রচন্ড ক্ষতি হয় এবং ঐ হোটেলের উনিশজন পাকিস্তানী ও একজন মার্কিন