পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (একাদশ খণ্ড).pdf/৭৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



742

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : একাদশ খণ্ড

 সিলেট: বিলম্বে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে যে সিলেট জেলার গোয়াইন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণ চালিয়ে ২৩ জন পাকসেনাকে হত্যা করে এবং বহু পাকসেনাকে জখম করে।

 চট্টগ্রাম: হাতিয়া এবং সন্দ্বীপ থানা মুক্তিবাহিনীর দখলে এবং এ ছাড়া চট্টগ্রাম শহরে গেরিলা তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে। গেরিলারা শহর ও শহরতলীর বিপুল সংখ্যক পাক দালালকে খতম করতে সামর্থ হয়। পাক সেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের ভয়ে ছাউনিতে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। 

-বিপ্লবী বাংলাদেশ, ১৪ নভেম্বর, ১৯৭১
* * * * *

ফেনীতে মুক্তিফৌজের বিরাট সাফল্য

 ঢাকা, ১৩ নভেম্বর: প্রচণ্ড সংগ্রামের পর মুক্তিফৌজের বীর জওয়ানরা নোয়াখালী জেলার ফেনী অঞ্চলের বিরাট এলাকা সম্পূর্ণভাবে হানাদার মুক্ত করেছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। ঐ লড়াইয়ে ৩৯ জন পাক সৈন্য ও ১০ রাজাকার মুক্তিফৌজের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। বহু অস্ত্র-শস্ত্র ও মূল্যবান যন্ত্রপাতি মুক্তিফৌজ হস্তগত করেছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।

 বাংলাদেশ সরকারের জনৈক মুখপাত্র জানান- এলাকাটি সামরিক গুরুত্ব অত্যাধিক এবং এটা মুক্তিফৌজের পক্ষে একটা বিরাট সাফল্য।

  বিলোনয়া রেলষ্টেশন মুক্তিবাহিনীর দখলে: সাতদিন ধরে প্রচণ্ড লড়াইয়ের পর মুক্তিবাহিনীর অসমসাহসী যোদ্ধারা আজ পূর্ববঙ্গের বিলোনিয়া রেল ষ্টেশনটি দখল করেছে। দখলদার সেনারা এই অঞ্চল ত্যাগের পর রেল ষ্টেশনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ওড়ান হয়।

 মুক্তিফৌজ কর্তৃক কসবায় বহু লক্ষ টাকার অস্ত্র ও গোলাবারুদ দখল: ঢাকা, ১৫ই নভেম্বর: মুক্তিফৌজ কসবার মুক্তাঞ্চলের যুদ্ধে কমপক্ষে কয়েক লক্ষ টাকার হানাদার শত্রদের গোলা-বারুদ দখল করে নিয়েছে। হানাদার বাহিনী পালিয়ে যাবার আগে সবকিছু ধ্বংস করে যেতে পারেনি। এখন মুক্তিফৌজ সেগুলি নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নিচ্ছে। কসবা এলাকায় মুক্তিফৌজের হাতে হানাদারদের মৃত্যুসংখ্যা এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি। কারণ মৃত দেহগুলি এখনও বাঙ্কার থেকে বের করা হচ্ছে।

 এই অঞ্চলে হানাদার বাহিনীর ক্ষতি মারাত্মক হয়েছে বলে আমাদের সংবাদদাতা জানান। 

-সাপ্তাহিক বাংলাদেশ, ১৫ নভেম্বর, ১৯৭১
* * * * *

Daring Guerrilla Operation in Dacca

 The heavily fortified city of Dacca has been the scene of daring guerilla operations in the past weeks. Over a dozen public buildings in the Motijheel area alone have been damaged by recent bomb explosions. Motijheel is the most important commercial district in Dacca.

 A heavy explosion shock the heart of Dacca on November 11 when a bomb exploded near the main entrance to the General Post Office. Eyewitness saw three people killed, 21 injured and six cars destroyed. Another explosion ripped through Baitul Mukarram- one of the largest shopping centers in the city killing several persons and injuring 40 others, seven of them seriously, Dacca police reported on November 11.