পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (একাদশ খণ্ড).pdf/৭৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



743

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : একাদশ খণ্ড

 The Mukti Bahini blew up the power station in Narayanganj- the most important industrial centre outside Dacca. Quoting local police sources AFP reported last week that high-powered explosives placed inside the station by the guerillas demolished the entire building, damaging the machinery.

 The agency report also said that the Bengali guerilas made a daring attack on Gandaria railway station in the outskirts of Dacca on November 9, taking the station staff as prisoners and setting the building on fire. Occupation Army suffered in 2 Weeks

 During the first half of October, the Mukti Bahini launched 1,134 guerilla operations in Bangladesh and killed 1,090 West Pakistani soldiers. Bengali freedom fighters liquidated 900 West Paramilitary, police, armed collaborators and quislings. During this same period, 450 collaborators also surrendered to the Mukti Bahini. 

-Bangladesh, 19 November, 1971

রণাঙ্গন থেকে লিখছি

 বাংলার বীর সন্তান তরুন মুক্তিযোদ্ধাগণ কাপাসিয়া থানায় ১৪-১১-৭১ তারিখে রানীগঞ্জে ১৭ জন হানাদার পশুকে হত্যা করেন। ১৭-১১-৭১ তারিখে বরমিতে ৪ জন, ১৮-১১-৭১ তারিখে গোরসিংগাতে বেশ কিছু সংখ্যক, ১৯-১১-৭১ তারিখে ঈদ করিবার ইচ্ছায় লুট করিয়া খাসী, ছাগল, মুরগী নিয়া নদী পার হইবার সময় ৯ জন হানাদার গুণ্ডাকে হত্যা করেন। মনোহরদি, টঙ্গিবাড়ী, আড়াইহাজার, মুন্সিগঞ্জ থানাসহ ঢাকা জেলার বিস্তীণ এলাকা মুক্ত এবং পুরোদমে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক ব্যবস্থা চলিতেছে। মুক্তিযোদ্ধাগণ নব- পদ্ধতিতে বিবর ঘাঁটি ধ্বংসে লিপ্ত রহিয়াছেন। 

-মুক্ত বাংলা, নভেম্বর, ১৯৭১
* * * * *

ধলাপাড়ায় হানাদারদের বিপর্যয় : মেজরসহ ৯ জন নিহত

 ঘাটাইল, গত ৭ই নভেম্বর ঘাটাইল থানার অন্তর্গত ধলাপাড়ায় প্রায় পাঁচশত পাক সৈন্যর সাথে আমাদের বীর মুক্তিবাহিনীর ভোর সাড়ে চারটে থেকে শুরু করে ৬ ঘণ্টাব্যাপী এক মরণক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে মুক্তিবাহিনীর একজন মেজরসহ ৬ জন পশ্চিমা কুকুর এবং ৩ জন রাজাকারকে হত্যা করেছে। খবরে প্রকাশ, ভোর রাতে দারুণ কুয়াশার আড়াল নিয়ে বর্বর কুকুরের মুক্তিবাহিনীকে আক্রমণ করে। আমাদের জোয়ানরা এই আক্রমণ সাহাসিকতার সঙ্গে ব্যাহত করে দেয়।

রাজাকার সংবাদ

 গত ৫ই নভেম্বর থেকে ১৮ই নভেম্বর পর্যন্ত টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন এলাকা এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল ও টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ রোড থেকে মোট ১৪৯ জন রাজাকার মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। এদের অনেকেই হাতিয়ার নিয়ে এসেছে এবং তাদের কাছ থেকে পাঁচ হাজারেরও বেশী গুলি পাওয়া গেছে। সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর খবর হলো রাজাকাররা প্রতিদিনই ক্রমবর্ধমান হারে আত্মসমর্পণ করতে আসছে। এদের মনোবল হারিয়ে গেছে এবং হানাদারদের পদলেহন করতে করতে এরা বিরক্ত হয়ে গেছে। আত্ম সমর্পণ করলে