পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (একাদশ খণ্ড).pdf/৭৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



744

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : একাদশ খণ্ড

ক্ষমা করা হবে এই মর্মে মাননীয় সি-ইন-সি মহোদয়ের ক্ষমা ঘোষণা করার পরই এরা আত্মসমর্পণ করতে শুরু করেছে।

মর্টার শেলিং : ১৪ জন দসু্য নিহত

 ফুলবাড়িয়া, গত ৫ই নভেম্বর- ফুলবাড়িয়া থানার আছিম পোড়াবাড়ীতে হানাদার কুকুর সেনাদের সঙ্গে মুক্তি বাহিনীর একটি শক্তিশালী স্কোয়াডের ৬ ঘণ্টা স্থায়ী এক প্রচণ্ড সংঘর্ষ হয়। আমাদের অগ্রবর্তী বাহিনীর সাফল্যজনক আক্রমণ অব্যাহত থাকার সময় পেছন থেকে গোলন্দাজ বাহিনী নিখুঁতভাবে মর্টার চালায়। এই সাফল্যজনক আক্রমণের ফলে ১৪ জন হানাদার কুকুর নিহত হয় এবং ৬ জন আহত হয়। মুক্তিবাহিনীর প্রচণ্ড আক্রমণে টিকতে না পেরে হানাদাররা বিপুল ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে পিছনে হটে যেতে বাধ্য হয়।

মেজরসহ ৬১ জন হানাদার নিহত

 গত ৩১ শে অক্টোবর মির্জাপুর থানার পাথরঘাটায় দেশপ্রেমিক মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে ইয়াহিয়ার লেলিয়ে দেয়া হানাদার সৈন্যদের সঙ্গে এক সম্মুখযুদ্ধ সংঘটিত হয়। খবরে প্রকাশ, ছয় থেকে সাত ঘণ্টা স্থায়ী এই যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর কয়েকজন গেরিলা কমাণ্ডো অতর্কিতে এক আত্মঘাতী আক্রমণ চালায়। সম্মুখসমর চলাকালীন গেরিলা কমাণ্ডো ক’জন পেছন থেকে হানাদার দস্যুদের ষ্ট্রেঞ্চ ও বাঙ্কারে প্রবেশ করে। বাঙ্কারে পাঁচ গজ দূর থেকে একজন কমাণ্ডো একজন পাঞ্জাবী মেজরকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়া অন্যান্যরা বাঙ্কারে অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে মোট ১৮ জন পাঞ্জাবীকে হত্যা করে। আমাদের দুজন সৈন্য এখানে শহীদ হন। এছাড়া সম্মুখযুদ্ধে মোট ২৯ জন হানাদার বর্বর সৈন্যসহ ১৪ জন রাজাকার নিহত হয়। যুদ্ধ শেষে আমাদের বীর জোয়ান দল নিরাপদে ঘটিতে ফিরে আসে।

৯৭ জন রাজাকার বন্দী

  ফুলবাড়িয়া থানার পোড়াবাড়ীটে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা মার খেয়ে হানাদাররা পালিয়ে গেলে মুক্তিবাহিনী রাজাকারদের ঘেরাও করে ৯৭ টি রাইফেল এবং ২৫০২ টি গুলি সহ বন্দী করে।

গেরিলাদের মহড়া

 টাঙ্গাইল: গত ৫ই নভেম্বর টাঙ্গাইলে সন্ধ্যে সাতটা থেকে নিম্প্রদীপ মহড়া চলাকালীন মুক্তিবাহিনীর গেরিলা কমাণ্ডোরা তাদের গ্রেনেড ছোড়ার মহড়া চালায়। গেরিলারা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রায় ৫০টি গ্রেনেড ছোড়ে। ফলে হানাদারদের কয়েকজন হতাহত হয়। টাঙ্গাইলের প্রধান ডাকঘরের পেছনে অবস্থানরত রাজাকারদের উপর কয়েকটি গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কমাণ্ডোরা ৩ জনকে হত্যা করে এবং ৪ জনকে গুরুতর আহত করে।

বটতলায় যুদ্ধ

 গত ১১ই নভেম্বর মুক্তাগাছার বটতলায় মুক্তিবাহিনী এক যুদ্ধে ৩ জন পাঞ্জাবী হনাদার সেনাসহ ৩ জন রাজাকারকে হত্যা করেন এবং ৭ জন রাজাকারকে গ্রেফতার করে। 

-রণাঙ্গন, ২১ নভেম্বর, ১৯৭১
* * * * *

বিজয় বার্তা

 সিলেট: তুকার বাজারের কাছে পাক সেনা ও গেরিলাদের মধ্যে এক প্রচণ্ড লড়াই হয়। ফলে ৮ জন পাক সৈন্য ও রাজাকার নিহত হয়।