508 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিল : চতুর্থ খন্ড दाश्लादनञ्जाडीश शुद्धिहजशत्रज्ञ कन्नितिा वाश्लाळनश खाडीज़ शूख्ि ১০ আগষ্ট, ১৯৭১ নিজস্ব ভূমিকা ব্যাখা করে প্রদত্ত বিবৃতি সমন্বয় কমিটি ১০ই আগস্ট ১৯৭১ “বাংলাদেশ জাতীয় মুক্তি সমন্বয় কমিটি” কর্তৃক নিন্মোক্ত বিবৃতি প্রচারিত হয়ঃ আজ যখন একদিকে শত শহীদের রক্তমানে বাংলার মুক্তিসংগ্রাম এক নুতন স্তরে উন্নীত হইয়াছে এবং অপরদিকে সাম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদ ও বৃহৎ পুঁজির প্রতিভূ পাক-জঙ্গশাহী এই মুক্তিসংগ্রামকে নস্যাৎ করিবার জন্য নূতনতন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, ঠিক সেই মুহুর্তে যে প্রশ্নটি বাংলাদেশে মুক্তিসংগ্রামের সম্মুখে সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব লইয়া উপস্থিত হইয়াছে তাহা হইতেছে বাঙালী জাতির ঐক্যের প্রশ্ন। গত ১লা জুন সেদিন বাংলাদেশকে দসু্যকবলমুক্ত এবং পরিপূর্ণরূপে স্বাধীন করিবার ব্রত লইয়া কতগুলি রাজনৈতিক দল ও সংগঠন একত্রিত হইয়া “বাংলাদেশ জাতীয় মুক্তিসংগ্রাম সমন্বয় কমিটি” গঠন করিয়াছিল, সেই দিনই এই ঐক্যের উপর গুরুত্ব দিয়াছিল। ১লা জুনের ঘোষণায় তাই উল্লেখিত হইয়াছে। এই সমন্বয় কমিটির আশু লক্ষ্য হইল সুনির্দিষ্ট কর্মসূচী ও কর্মপদ্ধতির ভিত্তিতে বাংলাদেশের সরকারের ও মুক্তিসংগ্রামরত সকল শক্তির সহিত সংযোগ ও সমন্বয় সাধন করিয়া জাতীয় মুক্তিযুদ্ধকে সাফল্যের পথে অগ্রসর করিয়া লওয়া। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের জাতীয় মুক্তিসংগ্রামকে সফল করিয়া তুলিবার জন্য প্রয়োজন সকল দল-মত-ব্যক্তির সমবায়ে গঠিত একটি সুসংহত ও ঐক্যবদ্ধ জাতীয় মুক্তিফ্রন্টের। তাই এই সমন্বয় কমিটির তরফ হইতে আমরা আওয়ামী লীগ সহ স্বাধীনতাকামী অন্যান্য সকল রাজনৈতিক দল, গ্রুপ, গণ-সংগঠন, শ্রেণী-সংগঠন ও দেশপ্রেমিক ব্যক্তিবর্গের নিকট এইরূপ একটি জাতীয় মুক্তিফ্রন্ট গঠনের আহবান জানাইতেছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, যে মুহুর্তে সমন্বয় কমিটির তরফ হইতে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হইতেছে, সেই মুহুর্তে সমন্বয় কমিটির গঠনকে কেন্দ্র করিয়া বিভিন্ন মহল বিভ্রান্তির ধুম্ৰজাল সৃষ্টি করিতেছে। তাহারা ইহাকে বিভেদাত্মক ও বিভ্রান্তিকর কার্যকলাপ বলিয়া চিত্রটি করিতে প্রয়াস পাইতেছেন। অথচ আমাদের ঘোষণা হইতে এইরূপ মনে করিবার কোন কারণ নাই। সমন্বয় কমিটির পূর্ণাঙ্গ ঘোষণা সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে বহু পূর্বেই প্রেরণ করা হইয়াছিল। তাহা ছাড়া আমাদের এই বক্তব্য লইয়া গত ১লা জুলাই সমন্বয় কমিটির দুইজন প্রতিনিধি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছেন। ‘সমন্বয় কমিটি’ গঠনের পূর্বে এবং পরে সমন্বয় কমিটি পৃথকভাবে ও সমষ্টিগতভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিদের সহিত ব্যক্তিগতভাবে ও আনুষ্ঠানিকভাবে ঐক্যের প্রস্তাব লইয়া আলাপ-আলোচনা করিয়াছেন। সুতরাং "সমন্বয় কমিটিকে কেন্দ্র করিয়া কোন প্রকার বিভেদাত্মক কর্মকান্ড আবিষ্কার করা নিছক করবে। আমরা মনে করি বাংলার স্বাধীনতা লড়াইয়ে অংশ গ্রহণের অধিকার প্রত্যেকটি বাঙালী নাগরিকের আছে। একমাত্র পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর মুষ্টিমেয় দালাল ইহার ব্যতিক্রম। কে ছোট, কে বড়, কে ইয়াহিয়া প্রদত্ত ১৯৭০-এর নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করিয়াছিল কি করে নাই, কে সেই নির্বাচনে জয়লাভ করিয়াছে বা পরাজিত হইয়াছে- সে কথা বড় নয়, বড় হইল বাংলার স্বাধীনতা। সেই স্বাধীনতার উদগ্র আকাংক্ষা লইয়া সমন্বয় কমিটি ইতিমধ্যেই দেশের অভ্যন্তরে নিজের শক্তি ও সামর্থ অনুযায়ী জনগণকে সংগঠিত করা, পাকসেনা ও তাহার দালালদের খতম করিবার কাজ শুরু করিয়াছে। সে সকল এলাকায় এইরূপ কাজ ভালভাবে করা গিয়াছে
পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (চতুর্থ খণ্ড).pdf/৫৩৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।