পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (চতুর্থ খণ্ড).pdf/৬১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

580 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিল : চতুর্থ খন্ড মীরেশরাই থানার নিয়মিত সৈন্যের বিরুদ্ধে আমার কাছে যে টেলিগ্রাম এসে পৌছে তাও সামরিক কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করি। সেটা ছিল FORCE FROM MIRSARI BASE RAIDED BUDDHIST WILLAGE DAMDAMA TWENTY-NINTH NOVEMBER BURNT FIFTY-TWO HOUSES KILLING TWO WOUNDED MANY LOOTED PROPERTIES RAPED WOMEN BROKEN IMAGES OF LORD BUDDHA ASSAULTED MONKS. বীেদ্ধ ছাড়া অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকদের যে সমস্ত অভিযোগ পাই তা সামরিক কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করে তার কার্যকরী ব্যবস্থা নিই। STATEMENT OF MR. ABDUL WALI, DIGHINALA, Chittagong Hill-tracts, Dated 7"Sept. 71.


That the Rezakars have been the cause of constant miseries of the people.

That the Razakars compelled the Businessmen and villagers to sell every commodity without price.... That the Meizus are torturing the women and brutally assaulted a number of girls. That in Dighinala Hospital many girls assaulted by the Meizus are lying in an unpleasant condition......... পার্বত্য চট্টগ্রামের দিঘনালায় কতিপয় গুন্ডা প্রকৃতির লোক প্রায় ২৫টি হিন্দু পরিবারকে ধর্মান্তরিত করে। শ্ৰী বিনোদ বিহার চৌধুরী নামে জনৈক ভদ্রলোকের পাঠানো একখানা দরখাস্ত আমার কর্তৃপক্ষ সমীপে দাখিল করি এবং পুনঃ তাদের ধর্মে দীক্ষিত করার ব্যবস্থা করি। এছাড়া চাটগাঁ আর পটুয়াখালীর বহু হিন্দু পরিবারকেও ধর্মান্ত রকরণ থেকে রক্ষা করেছি। প্রথম পর্যায়ে সামরিক কর্তৃপক্ষ যে সমস্ত বৌদ্ধদের আটক করে তার ৪৯ জনের এক তালিকা প্রস্তুত করে তাদের কাছে পেশ করি। এদের অনেকেই উচ্চপদস্থ কর্মচারী এবং প্রায়ই সরকারী চাকুরে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের ছাড়পত্র কিংবা খবরাদি দেবার জন্যে আমরা কর্তৃপক্ষ সমীপে বারবার চাপ দিই। কিন্তু শেষ পর্যন্তও তাদের কোন সন্ধান মেলেনি। তবে মার্চের পরবর্তী অধ্যায়ে রাজাকার কিম্বা মুজাহিদরা যে শত শত লোক ধরে নিয়ে গিয়েছিলো তাদের সামরিক জান্তার মরণ থাবা থেকে আমরা উদ্ধার করতে সক্ষম হই। বিশিষ্ট সংগীত পরিচালক জনাব আলতাফ মাহমুদসহ বিল্লাহ পরিবারের নুহেল আলম বিল্লাহ, খনু, দিনু ও লিনু বিল্লাহকে সামরিক কর্তৃপক্ষ ধরে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছিল। এদের পাঁচজনের মুক্তির জন্যে অশেষ প্রচেষ্টা চালানোর পর নুহেল ও তার তিনভাইকে কোন রকমে প্রাণে বাঁচিয়েছি। দুঃখের বিষয় জনাব আলতাফ মাহমুদকে সামরিক জান্তার মরণ ছোবল থেকে রক্ষা করা গেলো না। আমার মির্জাপুর সফরকালে সমাজসেবী, জনদরদী শ্রী আর, পি, সাহা-র কন্যা জয়া-র কাছ থেকে তাঁর পিতা, ভাই, অন্যান্য কর্মচারী এবং প্রতিষ্ঠানের সামরিক বাহিনী কর্তৃক অত্যাচারের এক মর্মন্তদ কাহিনী শুনি। এদের হাত থেকে আর, পি, সাহাকে উদ্ধারের জন্যে বহু প্রচেষ্টা চালাই কিন্তু এ জনদরদীর কোন সন্ধান পেলাম না। পটুয়াখালীতে শ্রী অবিনাশ চক্রবর্তী নামে জনৈক ভদ্রলোককে এক ধ্বংসস্তপে দিন যাপন করতে দেখি। তাঁর তিন কন্যা মায়া, মঞ্জু ও প্রতিমা সামরিক জান্তার অত্যাচার হতে রক্ষা পাবার জন্যে পাঁচ মাস অজ্ঞাতবাস অবস্থায় ছিল। সেখান থেকে আমরা তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসি।