পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (চতুর্দশ খণ্ড).pdf/৭২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

690 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ চতুর্দশ খন্ড কিন্তু এখানেও আমরা সবাইকে সতর্ক করে দিতে চাই যে এই প্রাণ ঢালা উদ্বেল সহানুভূতি দিয়েও ঐ নরঘাতক দস্যদের ভাসিয়ে নেওয়া যাবে না। ভারতীয় জনসমুদ্রের উদ্বেল এই সহানুভূতি ও ভ্রাতৃত্ববোধকেও সুসংগঠিতভাবে নিয়োজিত করতে হবে। বহুরকমের কাজ ও সংগঠনের মধ্য দিয়ে তাকে প্রবাহিত করতে হবে। এই তিন হাজার মাইল ব্যাপী বৃহৎ সীমান্তকে একটি সক্রিয় সুসংগঠিত শক্তি হিসেবে দাঁড় করাতে হবে। বৃহত্তর দায়িত্ব অদূর ভবিষ্যতে দেখা দেবে। পূর্ববঙ্গে দুর্ভিক্ষের অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে-সে সময় নিজেরা না খেয়ে, আধ পেটা খেয়েও ওঁদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে, ওঁদের সংগ্রামী শক্তিকে উত্তরোত্তর সক্রিয় করে তুলতে হবে, ওঁদের মনোবলকে আরও দৃঢ় করতে হবে, একটা দীর্ঘায়ত সংগ্রামের প্রয়োজনে যাবতীয় জিনিস জুটিয়ে দিতে হবে। প্রকৃত তথ্য পৃথিবীর জনসাধারণের কাছে উপস্থিত করে দিতে হবে। আমরা একাজ যদি করতে পারি, তবে ভারতও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে, ভারত একটা শক্তি হিসেবে আবার পৃথিবীতে গ্রাহ্য হবে। যে জাত যত বড় দায়িত্ব নিতে সাহস রাখে, সে জাতই তত বড় হয়। ভারতের আপামর জনসাধারণের প্রাণে আজ সে প্রেরণা উপস্থিত। একে গ্রাহ্য করা, একে সংগঠিত রূপ দেওয়াই আজ ভারতীয় নেতৃত্বের একমাত্র কাজ হওয়া উচিত। সম্পাদকীয়, কম্পাসঃ ১০ ই এপ্রিল, ১৯৭১